ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোয় করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। এই অবস্থায় দেশে আবারও বাড়ছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ। এই অবস্থায় ভাইরাসটির বিস্তার রোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে করোনা প্রতিরোধে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া ১১ দফা নির্দেশনা পড়ে শোনান সংস্থাটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মো. আবু জাফর।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ভাইরাসজনিত সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের কয়েকটি নতুন সাব–ভ্যারিয়েন্ট (উপধরন) চিহ্নিত হয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে দেশে যাতে ভাইরাসটির সংক্রমণের বিস্তার না হয় সে জন্য ইতোমধ্যে সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কগুলোয় নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ৭টি ও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিলে ৪টি করণীয় বিষয়ের কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মো. আবু জাফর।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসাধারণের করণীয়
১) যতটা সম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। একান্তই যদি উপস্থিত হতে হয় তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।
২) শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩) হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক–মুখ ঢেকে রাখুন।
৪) ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন।
৫) ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
৬) অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ ধরবেন না।
৭) আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
করোনার উপসর্গ বা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ হলে করণীয়
১) জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন।
২) রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
৩) রোগীর সেবাদানকারীরাও সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৪) প্রয়োজন হলে কাছের হাসপাতালে অথবা আইইডিসিআর (০১৪০১–১৯৬২৯৩) অথবা স্বাস্থ্য বাতায়নের (১৬২৬৩) নম্বরে যোগাযোগ করুন।
আরআর/এসএন