টাঙ্গুয়ার হাওরে তিনতলা বোটের ধাক্কায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে বিপর্যয়, পাঁচ গ্রাম অন্ধকারে

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় টাঙ্গুয়ার হাওরগামী তিনতলা বিশিষ্ট একটি হাউজবোটের ধাক্কায় টাঙ্গুয়া ও মাটিয়ান হাওরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত পাটলাই নদীর উপর দিয়ে টানা পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পাঁচ গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বুধবার (১১জুন) বিকালে পাটলাই নদীর ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের ছিলানী তাহিরপুর, জয়পুর, গোলাবাড়ি, ইসলামপুর নতুনহাটি ও জয়পুর নতুনবাড়ি গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গুয়ার সাধারণত একতলা বিশিষ্ট হাউজবোট পর্যটকদের নিয়ে চলাচল করে।

কিন্তু নীল কমল নামে তিনতলা বিশিষ্ট একটি হাউজবোট অসচেতনভাবে চালানোর কারণে মেইন লাইনের বৈদ্যুতিক তারে সরাসরি আঘাত লাগলে আগুনের ফুলকি দিয়ে বিদ্যুত লাইনের দুইটি তার ছিঁড়ে যায়। সাথে সাথেই পাঁচটি গ্রামের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় হাউজবোটের দুইজন লোককে আটকে রেখেছে গ্রামবাসী।

ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক হাদিউজ্জামান বলেন, বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তবে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন দ্রুতই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। লাইন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আলাদা লাইন দিয়ে একটি গ্রামে বিদ্যুৎ চালু হবে তবে বাকি গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে সময়
লাগবে।

বোটের দুইজন লোক গ্রামেই আছেন। নীল কমল হাউসবোটের ব্যবস্থাপক আল মামুন বলেন, আমাদের হাউজবোটটি আজকেই প্রথম হাওরে নামানো হয়েছে।

বোটের জন্য এলাকায় এক অভিজ্ঞ সারং (সুকানি) নেয়া হয়েছে। সে বিদ্যুতের লাইনে বোটটি লাগিয়ে দিয়েছে। আমরা এখনও ছিলানী তাহিরপুরেই আছি।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তাহিরপুর সাব জোনাল অফিসের সহকারী ম্যানেজার আলাউল হক সরকার বলেন, হাউজবোটের ধাক্কায় ১১ হাজার ভোল্টের তার ছিঁড়ে গেছে। এতে টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের পাঁচটি গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে।

আমাদের লোক ঘটনাস্থলে আছে। লাইন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই লাইনটি মেরামত করে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে সময় লাগবে।

এফপি/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হাসিমুখে বলেছিলেন ‘শান্তিতে ফিরছি’, জেমি রে মিক এখনো নিখোঁজ Jun 13, 2025
img
‘আমার বাচ্চা কোথায়?’—মায়ের কান্নায় ভারি গানথোইর বাড়ি Jun 13, 2025
img
অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে কাউকে বাঁচানো যায়নি: অমিত শাহ Jun 13, 2025
img
সরকার একতরফা নির্বাচনের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে: জি এম কাদের Jun 13, 2025
img
সেনা অভিযানে ইউপি সদস্যর বাড়ি থেকে আটক ৩ সমন্বয়ক Jun 13, 2025
img
মৌসুমীকে নিয়ে গুজব, জুনিয়র মিশাকে জুতাপেটা করতে চান ওমর সানি Jun 13, 2025
img
পটুয়াখালীতে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষ: রাত দেড়টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ নুর Jun 13, 2025
img
রানাঘাটের স্মৃতিতে অমলিন রাখি গুলজার, আজও গর্বিত শহরবাসী Jun 13, 2025
img
প্রায় দুই বছর পর জাতীয় দলে ফেরা ইবাদতকে ‘বাড়তি শক্তি’ বললেন শান্ত Jun 13, 2025
img
রাজা তৃতীয় চার্লসের হাত থেকে ‘হারমোনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করলেন ড. ইউনূস Jun 13, 2025
img
এভাবে চললে বিএনপিও আওয়ামী লীগের পরিণতি ভোগ করতে বাধ্য হবে: এনসিপি নেতা শিশির Jun 13, 2025
img
“আমি আগে যা ছিলাম, এখনও তাই আছি” ঠোঁট নিয়ে সমালোচনার জবাবে বর্ষা Jun 13, 2025
img
মাত্র ১০ মিনিট দেরিতে ফ্লাইট মিস, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন ভূমি চৌহান Jun 13, 2025
img
টিউলিপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না ড. ইউনূস Jun 13, 2025
img
পটুয়াখালীতে নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ Jun 13, 2025
img
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যেখানে দেখাই করবেন না, আপনি গেলেন কেন: মাসুদ কামাল Jun 13, 2025
img
আহমেদাবাদে বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় আমি বিষণ্ণ: শাহবাজ শরিফ Jun 13, 2025
img
ভারতের বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে ট্রাম্পের দুঃখ প্রকাশ Jun 13, 2025
img
৫২ বসন্ত পাড় করলেন অমিতাভ ও জয়া Jun 13, 2025
img
স্বামীর কাছে পৌঁছানো হলো না, আহমেদাবাদেই শেষ হল খুশবুর পথ Jun 13, 2025