চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
তিনি বলেন, ঢাকায় সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশ থেকে বলেছিলাম এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপিও এটা চায়। এ ব্যাপারে আমাদের রাজপথে বা আলোচনায় ঐকমত্য হয়ে আছে। আমরা মনে করি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করলে বিচারের কাজ দৃশ্যমান করা ও প্রয়োজনীয় সংস্কার অবশ্যই করা সম্ভব।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দেশের অন্য গণতান্ত্রিক দলগুলোর মতো আমরাও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাই। নির্বাচন বিলম্বিত হলে অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার শঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন, সংস্থার ও বিচারের বিষয়ে আমাদের দ্বিমত নেই। অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যেসব সংস্কার প্রয়োজন তা করতে হবে।
বিচার কার্যক্রমও দৃশ্যমান হতে হবে। আমরা মনে করি এসব কাজ করেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন শেষ করা সম্ভব। নির্বাচন পিছিয়ে গেলে আধিপত্যবাদী শক্তি তাদের অনেক ইচ্ছা বাস্তবায়ন করতে পারে। নানা কারণে নির্বাচন আরও দূরে চলে যাবে।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এপ্রিলে যারা নির্বাচনের বিষয়ে বলছেন আমরা তাদের সঙ্গে একমত না। কারণ মনে করছি এপ্রিলে নির্বাচনের কালক্ষেপণ অপ্রয়োজনীয়। এই কালক্ষেপণের মধ্য দিয়ে আধিপত্যবাদী, সম্রাজ্যবাদী শক্তি করিডোর, বন্দর তাদের অনেক ইচ্ছা বাস্তবায়ন করে নিয়ে যেতে পারে, যা আমাদের দেশের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আর আগামী ফেব্রুয়ারির পর থেকে শবেবরাত, রোজা, পরীক্ষা ও আবহাওয়া এমন জায়গায় যাবে আমাদের দেশের বাস্তবতায় এটা কোনো উপযুক্ত সময় না। কোনো কারণে যদি আমরা এপ্রিল বা অন্য চেষ্টা করি, তাহলে এটা হয়তো আরও দূরে চলে যাবে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ আমরা চাই না। কিন্তু তারা যে ধরনের গণহত্যা চালিয়েছে, এ নিয়ে তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কথা বলার নৈতিক অধিকার তারা হারিয়েছে। দ্রুত নির্বাচন না হলে পতিত শক্তি সামনে আসার সুযোগ পাবে।
লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বল এখন সরকারের কোটে।
করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিবাদে আগামী ২৭ ও ২৮ জুন ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ কর্মসূচির পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
এ সময় সিপিবি নেতা এস এ রশীদ, খুলনা মহানগর সিপিবির সভাপতি এইচ এম শাহাদাত, সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ ঢালী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু উপস্থিত ছিলেন।
আরএম/এসএন