যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন , ইরানে হামলা হতে যাচ্ছে তা তিনি আগে থেকেই জানতেন। শুক্রবার ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ইরান পারমাণবিক বোমা বানাতে পারবে না।’
ট্রাম্প আরও বলেন , ‘যুক্তরাষ্ট্র চাইছে ইরানের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসতে ও সমাধান খুঁজে পেতে।’
তিনি স্পষ্ট করে বলেন , ওয়াশিংটন চাইছে না সংঘাত আরও বাড়ুক, কিন্তু যদি ইরান পাল্টা হামলা করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল আত্মরক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
শুক্রবার রাতে ইসরায়েল নাতান্জ পারমাণবিক কেন্দ্রসহ প্রায় ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এ হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের নেতা হোসেন সালামি ও সেনাপ্রধান মোহাম্মাদ বাঘেরি নিহত হন বলেও খবর এসেছে।
ইরান এ হামলাকে অপরাধ ও অপরাধীর কাজ বলে উল্লেখ করে বলেছে যে, এর উপযুক্ত ও কঠোর জবাব দেওয়া হবে। অপরদিকে আন্তর্জাতিক মহল চাইছে দুপক্ষই সংযম প্রদর্শন করুক ও সমাধানে আলোচনায় বসুক।
ব্রিটেন বলেছে , তারা ইরানে হামলার পর সম্ভাব্য পাল্টা হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করার পদক্ষেপ নেবে না। অক্টোবরে অপর এক হামলায় ব্রিটেন জেট বিমান ও সেনা মোতায়েন করলেও এবার তারা নিরপেক্ষ থাকার ঘোষণা দিয়েছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার উভয়পক্ষকে সংযম ও আলোচনায় বসার অনুরোধ করেছিলেন।
পাকিস্তান এ হামলাকে অগ্রহণযোগ্য ও অপরাধ বলে নিন্দা জানিয়েছে। পাকিস্তান বলেছে , এটি জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন ও আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করার শামিল। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জাপান সবাইকে সংযম প্রদর্শন ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে অগ্রসর হতে অনুরোধ করেছে। ওমান বলেছে যে, এই হামলা ‘বিপজ্জনক ও অগ্রহণযোগ্য’। ওমান আন্তর্জাতিক মহলকে অনুরোধ করেছে যে, তারা এই সংঘাত থামাতে পদক্ষেপ নিক।
কেএন/টিকে