‘আজকের মিটিং প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশের মানুষ চাইলে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক জাতিকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নতুন আশা দেখিয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৩ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই অধ্যাপক ইউনূসকে, যিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে এই সভার আয়োজন করে সংকটপূর্ণ এক মুহূর্তে তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানান। সবকিছু যখন অনিশ্চয়তার মধ্যে চলে যাচ্ছিল, তখন এই দুই নেতা জাতিকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।”

মির্জা ফখরুল জানান, এখন সবচেয়ে প্রয়োজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। তিনি বলেন, “অতীতের ছোটখাটো ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে আমাদের সামনে তাকাতে হবে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটি যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়, এটাই এখন লক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে যে ফ্যাসিস্ট কাঠামো গড়ে উঠেছে, সেটিকে ভেঙে নতুন একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলার সময় এখন এসেছে। আমরা প্রায় ১৫ বছর পর গণতন্ত্রে উত্তরণের একটি সুযোগ পাচ্ছি এবং সেই পথেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”

আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন—তাদের আত্মত্যাগ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেছে। তারা জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন, দেশের জনগণ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়তে জানে।”

তিনি জানান, বৈঠক শেষে তারেক রহমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে এবং তিনি আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামরত সকল জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকের মিটিং প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশের মানুষ চাইলে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। এই ঐক্যই আমাদের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের ভিত্তি হয়ে উঠবে।”

এসএম/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ৩ কোটি ৪৩ লাখ Jun 14, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের জন্য সুসংবাদ: মির্জা ফখরুল Jun 14, 2025
img
চলমান সংঘাতের মাঝেই মোদিকে ফোন নেতানিয়াহুর Jun 14, 2025
img
চুরি জায়েজ করতে নতুন তত্ত্ব দাঁড় করানো হচ্ছে : আব্দুন নূর তুষার Jun 14, 2025
img
ঈদের ছুটি শেষে ভোগান্তি পেরিয়ে ঢাকায় ফিরছে মানুষ Jun 14, 2025
img
পেজেশকিয়ান-নেতানিয়াহুকে ফোন পুতিনের, দিলেন মধ্যস্থতার প্রস্তাব Jun 14, 2025
img
চাকরির লোভে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে : মানব পাচার চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার Jun 14, 2025
img
দেশের বাজারে আবারও বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম Jun 14, 2025
img
নির্বাচনের পরেও সব দলের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় বিএনপির Jun 14, 2025
img
যমুনা সেতুর দুই প্রান্তে ৩০ কিলোমিটার যানজট Jun 14, 2025
img
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের বৈঠক দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Jun 14, 2025
img
যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা Jun 14, 2025
img
আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় যেসব রাজনীতিবিদ প্রাণ হারিয়েছেন Jun 14, 2025
img
রেকর্ড দামে আর্জেন্টিনা থেকে ১৭ বছরের মাস্তান্তুয়োনোকে দলে নিল রিয়াল Jun 14, 2025
img
এক নেতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বিএনপি, তাহলে দেশ চালাবে কীভাবে: নুর Jun 14, 2025
img
বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা, হাসপাতালে অপেক্ষা স্বজনদের Jun 14, 2025
img
পটুয়াখালীতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের হাতে সৎ মা ও দাদি খুন Jun 14, 2025
img
৭০ বছর লিভ ইনের পর ‘আইনগত স্বামী-স্ত্রী’ হলেন রামাভাই ও জিওয়ালি Jun 14, 2025
img
হজ শেষে দেশে ফিরলেন ১৬ হাজার ৪৬৯ জন হাজি Jun 14, 2025
img
পাক অভিনেত্রীকে নিয়ে সিনেমা, দিলজিৎকে বয়কটের ডাক ভারতে Jun 14, 2025