বিশিষ্ট অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের ওরফে সামি দাবি করেছেন, যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর সফরসঙ্গীদের হোটেল ভাড়ায় ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা।
আজ শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, গত ৯ জুন ২০২৫ তারিখে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ৩৯ সদস্যের একটি সফরদল নিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছান। সফরের সময় লন্ডনের অন্যতম ব্যয়বহুল দ্য ডরচেস্টার হোটেলে তাঁদের জন্য চার রাতের জন্য ৩৭টি রুম রিজার্ভ করা হয়।
সামির দাবি অনুযায়ী, হোটেল বিলের একটি কপি পর্যালোচনা করে দেখা যায়—সফরদলের চার রাতের অবস্থানে ব্যয় হয়েছে মোট ২১০,৩২৫ ব্রিটিশ পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আনুমানিক ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা (প্রতি পাউন্ড ১৬৬ টাকা ধরে)।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টার অবস্থানের জন্য নির্ধারিত সবচেয়ে ব্যয়বহুল কক্ষটির দৈনিক ভাড়া ছিল ৬,০৪৫ পাউন্ড, যা প্রায় ১০ লাখ টাকা। কেবল তাঁর একার কক্ষের চার রাতের ভাড়া দাঁড়িয়েছে ২৪,১৮০ পাউন্ড, অর্থাৎ প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
সামি বলেন, 'দেশের সরকারপ্রধান বিদেশ সফরে গেলে তাঁর নিরাপত্তা ও মর্যাদার কথা বিবেচনা করে ভালো মানের হোটেলে থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে এই সফর থেকে বাংলাদেশ কী পেলো বা রাষ্ট্রীয়ভাবে কতটা লাভবান হলো, সেটি জনগণের জানার অধিকার।'
তিনি জানান, ড. ইউনূস এই সফরে কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেননি। বরং ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে একটি ব্যক্তিগত পুরস্কার গ্রহণ করতে লন্ডনে যান এবং আজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
স্ট্যাটাসে সামি আরও প্রশ্ন তোলেন, 'লন্ডনে বাংলাদেশ বিমানের সরাসরি ফ্লাইট থাকলেও ড. ইউনূস ও তাঁর সফরসঙ্গীরা কেন এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট ও বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করলেন? সরকারপ্রধান হিসেবে দেশের ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ার ব্যবহার করাই তো যুক্তিযুক্ত ও কাম্য।'
এই ব্যয় ও সফরের উদ্দেশ্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
টিকে/টিএ