পটুয়াখালীতে যাত্রীবাহী দুই বাসের প্রতিযোগিতায় সাবিকুর নাহার ওরফে শশী (২১) নামের এক তরুণী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৪ জুন) বেলা ১টার দিকে পটুয়াখালী জেলা শহরের বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণী বরিশাল জমজম মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের শিক্ষার্থী।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা যায়, নিহত শশী গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর শিকদারের মেয়ে।
ঈদের ছুটি শেষে আজ দুপুরে বরিশাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা হয়ে পটুয়াখালী বাস টার্মিনালে পৌঁছান। বরিশালগামী বাসে ওঠার জন্য সেখানে অবস্থান করছিলেন। এ সময় টার্মিনাল থেকে যাত্রী তুলতে দুটি বাস প্রতিযোগিতা শুরু করলে ওই তরুণী দুই বাসের মাঝখানে আটকে যান। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে আশপাশের লোকজন তাঁকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
বিষয়টিকে দুর্ঘটনা উল্লেখ করে পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ‘জড়িত বাসটি স্ট্যান্ডে দাঁড়ানো ছিল। এ সময় জুয়েল নামের এক হেলপার বাসটির স্থান পরিবর্তন করতে গেলে বাসের গতিরোধ যন্ত্রটি অকার্যকর হয়ে ওই তরুণীর গায়ে উঠে যায়। এটা ইচ্ছাকৃত হয়নি, দুর্ঘটনা। আমি ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর পথে। পৌঁছে নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করব।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ জানান, নিহত তরুণীর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর পরিবার নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরআর