বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেছেন, এখন দেশে নির্বাচন করার মতো একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা এখন ধরে নিতে পারি নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে। দেশে নির্বাচন না হয়ে কোনো উপায় নেই। এখন এই নির্বাচনটা আমরা কীভাবে করতে পারি, কীভাবে কী করলে ভালো হবে সেটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে।
গতকাল শহরের নান্নু টাওয়ারে রাজবাড়ী কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা দোদুল্য অবস্থা ছিল। কেমন যেন কালো মেঘে ছেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের রাজনীতি। একটা ধোঁয়াশা ভাব, কী হয়, কী হয় না। এই ইউনূস সাহেব ও তার উপদেষ্টারা অনেকেই বললেন এই সরকার এসেছে, এই সরকার অনেকদিন থাকবে। সংস্কার শেষ হবে, বিচার শেষ হবে, তারপর দেশে নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন সংস্কার হোক কিন্তু একটা রোডম্যাপ দরকার, কবে নির্বাচন হবে, সেটার তারিখ লাগবে। এই নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছে। কেউ বলে এই সরকার ৫ বছর থাক, আবার কেউ বলে হাসিনার যে অবশিষ্ট সময় ছিল ওই সময় পর্যন্ত থাক। তখন চিন্তা করা যাবে দেশে ভোট হবে কি হবে না। এ বিষয় নিয়ে কিন্তু তর্কবিতর্ক, আলাপ আলোচনা চলছে। তখন হঠাৎ প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিল মাসে নির্বাচন হওয়ার কথা বলেন। কিন্তু এপ্রিল মাসে নির্বাচন হলে মানুষের কষ্ট হবে। আমরা তখন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলাম। দুই দিন আগে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সাথে আমাদের নেতা তারেক রহমানের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পর জানানো হলো নির্বাচন হবে ফেব্রুয়ারি মাসে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে ঘোলাটে পরিবেশ ছিল বর্তমানে সেটা কেটে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার খুব বিস্ময় লাগলো জামায়াতে ইসলামী এই পুরো সময়টা অদ্ভুত রাজনীতি করলো। কিছুদিন আগে ছেলেপেলে একটা দল করলো এনসিপি নামে। এই এনসিপি যা বলে জামায়াতে ইসলামী তাই করে। এই পোলাপান কিছুদিন আগে বলেছিলো নির্বাচন দরকার নেই, তখন জামায়াতে ইসলামীও তাদের সাথে সুর মিলিয়ে বলেছে নির্বাচন পরে হবে। কিন্তু গত ১৮ বছর দেশে নির্বাচন হয়নি। মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারেনি। গণতন্ত্রের প্রধান শর্ত হলো নির্বাচন। তাই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে নির্বাচন দরকার।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ সবুর শাহীন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন— জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নঈম আনসারী, সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম দুলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আহসান হাবীব, যুগ্ম আহ্বায়ক আকমল হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য এ মজিদ বিশ্বাস প্রমুখ।
এসএন