জুলাই সনদ প্রণয়নের ক্ষেত্রে ১৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। সোমবার (১৬ জুন ) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব প্রস্তাবনার কথা জানানো হয়।
জুলাই সনদের বিষয়বস্তুতে ইনকিলাব মঞ্চের প্রস্তাবনাগুলো হলো :
এক. ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪-এর ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও এই সংগ্রামে জীবন দেওয়া সব শহীদকে রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
দুই. যেসব জুলাই যোদ্ধার স্থায়ীভাবে অঙ্গহানি ঘটেছে, তাদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিন. ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪—এই তিন ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচনকে বাতিল করে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট অন্য দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
চার. ফ্যাসিবাদী আমলের মন্ত্রী-এমপি ও দোষী আমলাসহ সব রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের বিচারের আওতায় এনে তাদের অবৈধ পন্থায় উপর্জিত সব সম্পদ জব্দ করে তা জুলাইয়ের শহীদ ও আহতদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।
পাঁচ. দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে ভারতীয় আধিপত্যবাসহ সব আগ্রাসনের বিরূদ্ধে বাংলাদেশ প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ সব রাজনেতিক দল ও শক্তিসমূহকে দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
ছয়. রাষ্ট্রযন্ত্র কর্তৃক সংঘটিত জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে এই গণহত্যার সাথে জড়িত দেশি-বিদেশি সব অপশক্তিকে চিহ্নিত করতে হবে।
সাত. রাষ্ট্র কাঠামোর এমন মৌলিক সংস্কার করতে হবে, যাতে আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিস্থিততে আর কোনো দিন কোনো ফর্মে পতিত ফ্যাসিবাদ ফিরতে না পারে এবং ভবিষ্যতেও কেউ যেন আর স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতা চর্চা করতে না পারে।
আট. ঐতিহাসিক ৩৬ জুলাইকে আমাদের জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণা করতে হবে।
নয়. এই সনদে ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের নিরিখে বৈষম্যবিরোধী ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।
দশ. সংবিধান থেকে জনবিরোধী ও জুলাই সনদের সাথে সাংঘর্ষিক সব ধারা-উপধারা বাতিল করে জুলাই সনদকে সাংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এগারো. ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব দল, মত এবং লিঙ্গের ন্যায্য শরিকানা নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে বলা হবে, আমরা বাংলাদেশের জনগণ এই ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান সম্পন্ন করেছি।
বারো. জুলাই সনদের ভাষাগত দুর্বোধ্যতা পরিহার করে আপামর জনসাধারণের জন্য তা সহজ ও সাবলীলভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
তেরো. জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার পূর্বে জনগণের মতামতের জন্য তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
পিএ/এসএন