ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই বিএনপি নেতার বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে হওয়া কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে ককলেট বিস্ফোরণেরও খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া সেনাবাহিনীও সেখানে ছুটে যায়। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেনি। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায় মেহারি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুল আউয়াল এবং মেহারি উপজেলা বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এলাকায় আধিপাত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে এ বিরোধ। এরই জের ধরে সোমবার দুপুরে মেহারি ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া এলাকায় দুই পক্ষের লোকজন সংর্ঘষে জড়ায়। আহতদের মধ্যে কামাল মিয়া (২৪), জসিম উদ্দিন (৪০), কিবরিয়া (৫০) ও টেঁট্টা বিদ্ধ সুমন মিয়া (৪৫) কে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিএ/টিএ