ইসরায়েলের হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)-এর শীর্ষ কমান্ডারও নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। আইআরজিসির সদর দপ্তরের প্রধান কমান্ডার নিহতের পর সদ্য তিনি এ পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তেহরানে একটি স্টাফড কমান্ড সেন্টারে রাতভর বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের ‘যুদ্ধকালীন’ চিফ অব স্টাফ আলি শাদমানিকে হত্যা করা হয়েছে। এই পদে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরই তিনি নিহত হন।
মঙ্গলবার ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, ‘সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য এবং হঠাৎ পাওয়া একটি সুযোগের ভিত্তিতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী (আইএএফ) তেহরানের কেন্দ্রে একটি স্টাফড কমান্ড সেন্টারে হামলা চালায় এবং আলি শাদমানিকে নির্মূল করে।’ তবে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইরান।
আলি শাদমানি শুক্রবার এই পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তার আগে ইসরায়েলের একটি হামলায় নিহত হন তার পূর্বসূরি লেফটেন্যান্ট জেনারেল গোলাম আলি রাশিদসহ ইরানের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা।
রাশিদ ও শাদমানি দুইজনই ‘খাতাম আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টার্স’ নামের একটি সামরিক কমান্ড পরিচালনা করতেন, যা ইরানের নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে। আইডিএফ-এর বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘শাদমানি তার বিভিন্ন সামরিক ভূমিকায় সরাসরি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পরিচালিত ইরানের আক্রমণাত্মক পরিকল্পনাগুলোর পেছনে প্রভাব রেখেছেন।’
এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল একদিকে যেমন তেহরানের অভ্যন্তরে আঘাত হানার সক্ষমতা দেখিয়েছে, তেমনি ইরানের সামরিক কাঠামোয় বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে ইরান কীভাবে এই হত্যাকাণ্ডের জবাব দেবে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ বাড়ছে।
সূত্র : সিএনএন
আরআর/এসএন