জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন স্থগিত হওয়াকে কেন্দ্র করে ফের দল ভাঙনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এক যৌথ বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তকে “অগণতান্ত্রিক ও অনভিপ্রেত” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
দলের প্রেসিডিয়াম সভায় গত ২০ মে সম্মেলনের দিন নির্ধারণ করে ভাড়া করা হয়েছিল চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র। তবে ঈদের পর ওই ভেন্যুতে প্রধান উপদেষ্টার একটি কর্মসূচি থাকায় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ হল দিতে অপারগতা জানায়। ফলে ২৮ জুন নির্ধারিত সম্মেলন স্থগিত করেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
কিন্তু একদিন পরই আনিসুল-হাওলাদার বলেন, ভেন্যু না মিললে বিকল্প স্থানে—দলের কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। তা বহাল থাকা সত্ত্বেও চেয়ারম্যান এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে গঠনতন্ত্র ও প্রেসিডিয়ামের সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছেন বলে তাঁরা মনে করেন।
নেতৃদ্বয়ের মতে, এই সম্মেলন নির্বাচন কমিশনের বৈধতা রক্ষায় এবং গঠনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ নিশ্চিত করাও এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিবৃতি নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত বহন করে। দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করানোর প্রস্তুতি রয়েছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। রুহুল আমিনের তৃণমূলে কিছু প্রভাব থাকলেও আনিসুল ইসলাম কর্মীবিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিভক্তি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এরশাদের গড়া দলটি অতীতে বহুবার বিভক্ত হয়েছে। এবারও সেই পুরনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
এসএম/টিকে