জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও কল্যাণে অধ্যাদেশ জারি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের মর্ম ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করা এবং ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্দেশে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) এই অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করা হয়।

অধ্যাদেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ না নিয়েও প্রতারণা করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

এতে বলা, জুলাই ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ-নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আপামর জনতার দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদ ও বিচারহীনতার ফলে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ এক দুর্দম গণআন্দোলন থেকে ক্রমান্বয়ে গণঅভ্যুত্থানে রূপ লাভ করে ০৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী শাসককে জনগণের কাছে পরাজিত হয়ে দেশ ছেড়ে পলায়নে বাধ্য করেছে।

গণঅভ্যুত্থানে ব্যাপক সংখ্যক নারী ও পুরুষ অংশ নেন এবং দেশব্যাপী সহস্রাধিক নিরস্ত্র দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন, অগণিত মানুষ আহত ও অতি গুরুতর আহত হয়েছেন এবং অধিকাংশই আঘাত ও নৃশংসতার বিভীষিকায় পর্যুদস্ত এবং তাদের এই আত্মত্যাগকে যথার্থ সম্মান প্রদর্শন অপরিহার্য এবং এমন ত্যাগের দৃষ্টান্ত জাতির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও রাষ্ট্র পুনর্গঠনের একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে সমুন্নত রাখা কর্তব্য।

অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত স্বীকৃতি, সম্মান, কল্যাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত জুলাইযোদ্ধাদের কল্যাণ সাধন ও পুনর্বাসনের উদ্দেশে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।

সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে তা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আশু ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে। সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করলেন।

এতে বলা হয়, প্রতারণার মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহতদের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা নিলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে ২ লাখ টাকা জরিমানা বা নেওয়া আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়।

এফপি/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
নোয়াখালীর চাটখিলে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগে হামলার অভিযোগ Nov 14, 2025
img
ম্যাচসেরা হয়েও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না জয় Nov 14, 2025
img
নিরাপত্তা ইস্যুতে বন্ধ কনসার্ট, ভেন্যু বদলের চিন্তায় আয়োজক Nov 14, 2025
img
আমরা অনেকেই শিক্ষিত হই, কিন্তু সুশিক্ষিত হই না: সেনাপ্রধান Nov 14, 2025
img
আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে রংপুর-৬ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন মাসুম বিল্লাহ Nov 14, 2025
img

যুক্তরাজ্যের উন্নয়নমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত প্রধান উপদেষ্টার Nov 14, 2025
img
শ্রেয়ার কনসার্টে অপ্রীতিকর ঘটনায় অজ্ঞান ২ শ্রোতা Nov 14, 2025
img
আবার বিয়ে করতে যাচ্ছেন ইংল্যান্ড কিংবদন্তি স্ট্রস Nov 14, 2025
img
কিছু দল ভোটে হারার ভয়ে সরকারের ওপর নাখোশ: খোকন Nov 14, 2025
img
আইপিএল নিলামের আগে ট্রেডে দল পাল্টালেন ৬ তারকা ক্রিকেটার Nov 14, 2025
img
আগে গণভোট পরে জাতীয় নির্বাচন, না হয় নির্বাচন হবে না: এ টি এম মাসুম Nov 14, 2025
img
ভোলার ভেদুরিয়া সার কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনে ৩ উপদেষ্টা Nov 14, 2025
img
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির মেয়াদ বাড়ছে আরও ৫ বছর Nov 14, 2025
img
ম্যাচটা অবশ্যই জেতা উচিত ছিল: হামজা চৌধুরী Nov 14, 2025
img
গাজীপুরে বিএনপিতে যোগ দিলেন ৮ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঁচ শতাধিক সদস্য Nov 14, 2025
img
পুলিশ হেফাজতে ২ চীনা নাগরিক Nov 14, 2025
img
ক্রিকেটপাড়ায় তোলপাড় : স্মৃতি মান্ধানার ‘বিয়ের কার্ড’ ভাইরাল Nov 14, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের মাধ্যমে সংকট কেটে গেছে : নুরুল হক নুর Nov 14, 2025
img
যুবসমাজ মাতাতে গ্লোবট্রটর মঞ্চে আশিষ Nov 14, 2025
img
ফের জল্পনায় বলিউড ও আইপিএলের অনিরুদ্ধ-কাব্য জুটি! Nov 14, 2025