দুই মেয়াদের বেশি কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না— এ বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় পর্বে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুটো পয়েন্টে মোটামুটি আমরা অগ্রসর হয়েছি। এর মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়টিতে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। সেটা হচ্ছে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সদস্য এবং এটাকে কনস্টিটিউয়েন্সি প্রেসিডেন্টের যে কনস্টিটিউয়েন্সি... মানে ইলেক্টোরাল কলেজ সেটা আরেকটু এক্সটেন্ডেড করা।
তিনি আরও বলেন, কমিশনের প্রস্তাব হচ্ছে এটা আপ টু দি ইউনিয়ন কাউন্সিল মেম্বারস, যেটার সংখ্যা হয়ে যায় প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার। আমরা বলেছি এক্সটেন্ডেড করা দরকার তবে এটা এতো বড় নয়। ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল এবং পৌরসভা আছে, এটাকে কাভার করে। আর উচ্চকক্ষ ও নিম্ন কক্ষ থাকবেই।
জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গোপন ব্যালটে ভোট চায় জানিয়ে তিনি বলেন, এতে করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যারা সরকার গঠন করবে বা যারাই করুক, তার বাইরেও অন্য কোনো ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হতে পারবে এমন একটা বিষয় এখানে ওপেন হওয়া। যদিও মেজরিটি দলের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, কিন্তু অলটারনেটিভ হওয়ার একটা স্কোপ এবং অপরচুনিটি যদিও খুব ন্যারো, তারপরও এটা একটা পজিশন থাকবে। সেজন্য আমরা এটা বলেছি।
তাহের বলেন, দুই নম্বর যেটা আমরা বলেছি, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের ব্যাপারে, সেখানে অনেকটাই মেজরিটি দল একমত হয়েছি যে কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কোনো কোনো দল ইনক্লুডিং বিএনপি, তারা আমাদের সঙ্গে পুরোপুরি একমত হননি। তারা বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ পরপর দুইবার তারপর ড্রপ, তারপর আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, একটা সাইড রেফারেন্স আমাদের মধ্যে রয়েছে কিন্তু মেজরিটি বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদেই পারবে, এরপর এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিয়ে আরও কিছু এজেন্ডা আছে, এটা সময়ের অভাবে আজকে আলোচনা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এসব অসম্পূর্ণ বিষয়ে আলোচনা শেষ করে রোববার ফের আলোচনা হবে।
আরআর/এসএন