ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা অর্জনের সুযোগ দেওয়া যাবে না বলে একমত হয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পর একথা জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও-এর মধ্যে বৈঠকের পর উভয় দেশ একমত হয়েছে যে ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সুযোগ দেওয়া যাবে না।
ল্যামি বৈঠক শেষে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা “অত্যন্ত সংকটজনক” এবং তারা দীর্ঘমেয়াদে ইরানের পরমাণু ইস্যুর একটি কূটনৈতিক সমাধান কীভাবে আনা যায়, সে বিষয়েও আলোচনা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, “কূটনৈতিক সমাধানের জন্য এখন আমাদের হাতে দুই সপ্তাহের একটি সময় রয়েছে।”
অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, “উভয় মন্ত্রী একমত হয়েছেন যে ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা অধিগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না।”
বিবিসি বলছে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যুক্ত হবে কিনা এই বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বার্তা জানান তার প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট।
এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের যৌথ অবস্থান, ইরানকে চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। যাতে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখা যায়।
ব্রিফিংয়ে লেভিট আরও বলেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাতে আমেরিকা সরাসরি জড়িত থাকবে কিনা এমন খবরের মধ্যে ট্রাম্প বলেছেন, “অদূর ভবিষ্যতে ইরানের সাথে আলোচনা হতে পারে বা আবার নাও হতে পারে তার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়টির ওপর ভিত্তি করে আমি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব যে আমি (সামরিক পদক্ষেপে) যাব কিনা।”
আরআর/টিএ