জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সারা দেশের কাউন্সিলদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। একজন সদস্য জীবনে সর্বোচ্চ দুইবার সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ দুইবার সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
আজ শুক্রবার (২০ জুন) জাতীয় নাগরিক পার্টির ষষ্ঠ সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। দলের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ আহমেদ সিফাতের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এনসিপির দপ্তরের বার্তা সূত্র জানা গেছে, দলের ষষ্ঠ সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্র বিষয়ক আটটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেগুলো হলো–
১. জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সারা দেশের কাউন্সিলদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। একজন সদস্য জীবনে সর্বোচ্চ দুইবার সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ দুইবার সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
২. সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ‘রাজনৈতিক পরিষদ’-এর নিকট দায়বদ্ধ থাকবে।
৩. জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি ‘রাজনৈতিক পরিষদ’ থাকবে। ‘রাজনৈতিক পরিষদ’ ন্যাশনাল কাউন্সিলের ভোটে নির্বাচিত হবে। ‘রাজনৈতিক পরিষদ’ সর্বনিম্ন ১১ জন থেকে সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্য বিশিষ্ট হবে। ১১ জন সদস্য ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল’ এর ভোটে নির্বাচিত হবেন; তার মধ্যে ন্যূনতম তিনজন নারী সদস্য থাকতে হবে। পদাধিকারবলে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রাজনৈতিক পর্ষদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। এ পর্ষদের বাকি দুইজন সদস্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দ্বারা মনোনীত হবেন।
৪. জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির একটি ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল’ থাকবে। এ ফোরাম ‘রাজনৈতিক পরিষদ’ নির্বাচন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন এবং জরুরি সময়ে কিছু কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার দায়িত্ব পালন করবে। ন্যাশনাল কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটি, অঙ্গ সংগঠনের নির্বাহী কমিটি, জেলা পদমর্যাদার কমিটি থেকে পাঁচজন এবং উপজেলা পদমর্যাদার কমিটি থেকে দুজন সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হবে।
৫. জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি কেন্দ্রীয় কমিটি থাকবে। যা দলের সভাপতি, সহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলী, অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাধারণ সদস্য এবং ক্ষেত্রবিশেষ জেলা সভাপতির সমন্বয়ে গঠিত হবে। কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর। মেয়াদের শেষ ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
৬. দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন দাখিল করার ব্যাপারে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৭. দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সামগ্রিক যোগাযোগের জন্য দলের পক্ষ থেকে মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসাকে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দায়িত্ব দেওয়া হয়।
৮. সভায় উপরের সংশোধনীগুলোসহ জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির ‘খসড়া গঠনতন্ত্র’ পাস হয়। গৃহীত ‘খসড়া গঠনতন্ত্র’ আগামী কাউন্সিলের আগে প্রয়োজন সাপেক্ষে বর্তমান প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কমিটি সংশোধনী আনতে পারবে।
এসএম/টিকে