ইরানে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এবার ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবেশী ইরাকেও। শুক্রবার (২০ জুন) জুমার নামাজ শেষে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের সদর শহরে হাজার হাজার মানুষ ইরানের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। তারা “ইসরায়েল নিপাত যাক”, “আমেরিকা হুঁশিয়ার”এমন সব স্লোগানে সাদর সিটির রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে।
বাগদাদের উপশহর সাদর সিটি, যা ‘বিপ্লব নগরী’ নামেও পরিচিত, প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দার শহর। এখানকার অধিকাংশ বাসিন্দা শিয়া মুসলিম। শহরটির নামকরণ করা হয়েছে জনপ্রিয় শিয়া নেতা ও মিলিশিয়া কমান্ডার মুকতাদা আল-সদরের নামে।
তিনি ইরানের ধর্মীয় নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ এবং দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-বিরোধী অবস্থানের জন্য পরিচিত। তার অনুসারীদের ভূমিকা ইরাকে ইরানপন্থী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ।
বিক্ষোভের মধ্যে ইরান আবারও ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আল জাজিরা ও রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে, শুক্রবার জেরুজালেম ও তেল আবিবে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইসরায়েলের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলার ফলে শুধু দুই দেশের মধ্যে নয়, পুরো অঞ্চলে যুদ্ধের বিস্তার ঘটতে পারে। ইরাকে এই বিক্ষোভ এরই বহিঃপ্রকাশ।
এ পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক শান্তি ফেরাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ জরুরি, বলছেন কূটনীতিকরা।
কেএন/টিকে