বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের পর বাংলাদেশকে চাপে ফেলার জন্য সমস্ত বর্ডারে পুশ ইন শুরু করেছে ভারত। শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ তার পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি এবং বর্ডারে মানুষকে গুলি করে হত্যা করছে ভারত।
শুক্রবার (২০ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকার আলেম-ওলামাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কথায় কথায় জঙ্গি খুঁজে বেড়াতো। ফজরের নামাজ মসজিদে পড়ার অপরাধে আলেম-ওলামাদের জঙ্গি তকমা দিয়ে ধরে নিয়ে যেতো। এটা হলো সারা দেশের চিত্র। এমনকি জঙ্গি সাজানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মাদ্রাসার এতিম ছেলেদের ধরে নিয়ে ঘরের মধ্যে রেখে বিভিন্ন লিফলেট লিখে হাতে ধরিয়ে বলতো তারা জঙ্গি, সেখানে র্যাবের লোকেরা বন্দুক-পিস্তল দিয়ে হত্যা করেছে। এই ঘটনাগুলো পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ঘটিয়েছে। দু-একটা নয়, অসংখ্য জায়গায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, লন্ডনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে একটা আলাপ হয়েছে, সেই আলাপে একটা নির্বাচনের সময় ঠিক হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের ছেলেদের রক্তের বিনিময়ে, জনগণের রক্তের বিনিময়ে ও মাদ্রাসার ছেলেদের রক্তের বিনিময়ে আমরা সেই অবস্থা থেকে বের হয়ে এসেছি। আল্লাহ আমাদেরকে একটা সুযোগ করে দিয়েছেন, এখন তোমরা একটু সিধা রাস্তায় চলার সুযোগ করে নাও। সৎ পথে চলার রাস্তা বের করো এবং জনগণ যত ভালো থাকে, সুস্থ থাকে তারা যেন তাদের অধিকার পায় সেই ব্যবস্থা করো।
এজন্য আমরা সব দলগুলো এক হয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছি, ড. ইউনুসের নেতৃত্বে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এরইমধ্যে বাংলাদেশ শত্রুরা, ইসলামের শত্রুরা বিভিন্নভাবে বিভাজনের সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ফেসবুক- ইউটিউবে এমন এমন কথা প্রচার হয় ও এমন তথ্য দেওয়া হয় এতে জাতি আরও বিভক্ত হয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমি শেখ হাসিনার আমলে ১৩ বার জেলে গেছি, ৪ বছর জেলে ছিলাম। মামলা হয়েছিল ১২১টা। একইভাবে ঠাকুরগাঁওয়েও ৭ হাজার মামলা হয়েছে এবং যাদের নামে মামলা হয়েছে তারা সবাই সাধারণ মানুষ কোনোদিন আদালতের বারান্দায় পর্যন্ত উঠেনি। তাদের একটাই অপরাধ তারা হাসিনার পক্ষ নেয়নি।
আরএম