ইরান খুব সহজেই কয়েক বছরের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী শক্তিতে পরিণত হতে পারে—এমনটাই মন্তব্য করেছেন ইতিহাসবিদ ও অধ্যাপক লরেঞ্জো কামেল। তিনি আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু একটি স্বাধীন ইরান নয়, বরং নিয়ন্ত্রণযোগ্য ইরান চান।
বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রিজার্ভ ও তৃতীয় বৃহত্তম গ্যাস মজুদের কারণে ইরানের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা অত্যন্ত শক্তিশালী। কামেল বলেন, এই অর্থনৈতিক শক্তিই ইরানকে একটি আঞ্চলিক হেজেমন (অভিভাবক শক্তি) হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, এটাই প্রথমবার নয় যখন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের জ্বালানি খাত নিয়ন্ত্রণে আগ্রহ দেখিয়েছে। ১৯৫৩ সালের সেই ঐতিহাসিক ঘটনার কথাও তিনি উল্লেখ করেন, যখন সিআইএ ও ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ যৌথভাবে ইরানের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেককে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। কারণ, মোসাদ্দেক ব্রিটিশ মালিকানাধীন অ্যাঙ্গলো-ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি থেকে ইরানের তেল সম্পদ জাতীয়করণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
আরআর