ইরানে বোমা হামলার পর মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকান নেতারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসায় মুখর হয়েছেন।
দক্ষিণ ক্যারোলিনার সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এক্স-এ লিখেছেন, “ভালো করেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।” টেক্সাসের সিনেটর জন করনিন একে “সাহসী এবং সঠিক সিদ্ধান্ত” বলে অভিহিত করেছেন। আলাবামার সিনেটর ক্যাটি ব্রিট হামলাকে বলেছেন “শক্তিশালী ও নিখুঁত অস্ত্র প্রয়োগ”।
ওকলাহোমার সিনেটর মার্কওয়েইন মুলিন লিখেছেন, “আমেরিকা সবার আগে, সবসময়।”
সিনেটের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান, মিসিসিপির রজার উইকার বলেছেন, “ট্রাম্প ইরানি শাসনের অস্তিত্বহীন হুমকি দূর করতে সচেতন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের এখন নাগরিক ও মিত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
সপ্তাহব্যাপী ট্রাম্প যখন ইরানে হামলার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করছিলেন, তখনই কংগ্রেসের অনেক রিপাবলিকান সদস্য এই পদক্ষেপ সমর্থনের ইঙ্গিত দেন। শনিবার রাতে সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা জন থুন বলেন, “ইরানের পরমাণু অস্ত্র অর্জন ঠেকাতে আমরা যে পদক্ষেপ নিচ্ছি, সেই মুহূর্তে আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাশে আছি এবং ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকা মার্কিন সেনা সদস্যদের জন্য প্রার্থনা করছি।”
সিনেটর থুন এবং হাউস স্পিকার মাইক জনসন হামলার আগে ব্রিফিং পান বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র।
মাইক জনসন এক বিবৃতিতে বলেন, “এই সামরিক অভিযান আমাদের শত্রু ও মিত্রদের জন্য স্পষ্ট বার্তা: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা বলেন, তা তিনি করেন।”
হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান রিক ক্রফোর্ড জানান, তিনি হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন এবং “সুনির্দিষ্ট ও সফল হামলা চালানো মার্কিন সেনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
ডেমোক্রেটদের মধ্যে ব্যতিক্রম হিসেবে পেনসিলভানিয়ার সিনেটর জন ফেটারম্যান, যিনি ইসরায়েলের জোরালো সমর্থক, ইরানে হামলার প্রশংসা করেছেন। তিনি এক্স-এ লিখেছেন, “আমি আগেই বলেছি, প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্ত সঠিক। ইরান সন্ত্রাসবাদের শীর্ষ পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করা চলবে না।”
তবে উভয় দলের মধ্যেই ইরানে হামলা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কেন্টাকির রিপাবলিকান প্রতিনিধি থমাস ম্যাসি, যিনি বরাবরই বিদেশে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে এসেছেন, ট্রাম্পের ঘোষণার পর এক্স-এ লিখেছেন, “এটা সংবিধানসম্মত নয়।”
অনেক ডেমোক্রেট নেতা মনে করছেন, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এমন হামলা উচিত হয়নি। ভার্জিনিয়ার সিনেটর টিম কেইনের একটি প্রস্তাব অনুযায়ী, কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া ইরানে যুদ্ধ বা সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না—এমন একটি রেজোলিউশনের ওপর এই সপ্তাহেই ভোট হতে পারে।
হাউস ইন্টেলিজেন্স প্যানেলের শীর্ষ ডেমোক্রেট, কনেকটিকাটের প্রতিনিধি জিম হাইমস ট্রাম্পের ঘোষণার পর লিখেছেন, “সংবিধান অনুযায়ী, যার প্রতি আমরা উভয়েই শপথ নিয়েছি, আমার দায়িত্ব হলো—বোমা পড়ার আগেই পদক্ষেপ নেওয়া। এখানেই শেষ।”
এফপি/ এসএন