নারায়ণগঞ্জ বন্দরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে কুদ্দুস মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি হাফেজীবাগ এলাকার বাসিন্দা।
শনিবার (২১ জুন) রাত ৯টায় উপজেলার শাহী মসজিদ এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এসময় আহত হয় উভয়পক্ষের অন্তত সাতজন। পরে রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় মেহেদী নামে আরও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
জানা যায়, বন্দর রেললাইন অটোস্ট্যান্ড দখল নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সাবেক কাউন্সিলর ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা হান্নান সরকারের সমর্থক বাবু-মেহেদী এবং সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাউসার আশার সমর্থক রনি-জাফর গ্রুপের মধ্যে মারামারি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ চলে আসছিল। রাতে মেহেদীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী জাফর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এসময় দু'গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে কুদ্দুসকে মেহেদীর লোকজন ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে রাত সাড়ে ১১টায় বন্দর সিরাজুদ্দৌলার ক্লাব মাঠ দিয়ে মেহেদী ও তার লোকজন যাওয়ার পথে তাদেরকে দেখে রনি ও জাফর গ্রুপের লোকজন ধাওয়া দিয়ে মেহেদীকে গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩শ' শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু'গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে উভয়পক্ষের ছুরিকাঘাতে কুদ্দুস ও মেহেদী নামে দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
এসএম