২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তথ্য পেতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৩ জুন) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তথ্য পেতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু কর্মকর্তার নথিপত্র এসেছে। এরপরে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দিনের ভোট রাতে করার অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। একইসঙ্গে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম যেমন দিনের ভোট রাতে করা, ব্যালট জালিয়াতি, কিছু কিছু কেন্দ্রে ৯০ শতাংশের বেশি কাউন্ট দেখানো, ব্যাপক আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রার্থীকে জেতানো ইত্যাদি নানা অভিযোগ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে এবং দুদকেও কিছু অভিযোগ জমা হয়েছে।
অভিযোগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি মহানগর, জেলা, বিভাগীয়, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা যেমন পুলিশের আইজিপি জাভেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, র্যাবের প্রধান ড. বেনজির আহমেদ, পুলিশের সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকি, তৎকালীন জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, জেলা প্রশাসক, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিইজি, পুলিশ সুপার, থানার অফিসার ইনচার্জ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তার যোগসাজশের কথা উল্লেখ রয়েছে।
অভিযোগে অনুসন্ধানের জন্য একজন দুদকের উপপরিচালকের নেতৃত্ব ৫ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।
আরআর/টিকে