'ফিদা', 'গোদাবরী', 'লাভ স্টোরি' কিংবা 'আনন্দ'—প্রেমের গল্প বলার এক নিজস্ব ঢঙে বরাবরই দর্শকের হৃদয়ে দোলা দিয়ে এসেছেন পরিচালক শেখর কাম্মুলা। এবার তিনি ফিরছেন নতুন এক স্বপ্ন নিয়ে। আর সেই স্বপ্নে রয়েছেন রাউডি তারকা বিজয় দেবেরাকোন্ডা।
সম্প্রতি 'কুবেরা' ছবির পর এক সাংবাদিক বৈঠকে কাম্মুলা জানিয়েছেন, তাঁর বহুদিনের ইচ্ছে একটি গ্ল্যামারাস, আত্মা ছুঁয়ে যাওয়া প্রেমের গল্প বানানো, আর সেই গল্পের নায়ক তিনি চান বিজয় দেবেরাকোন্ডাকে। এই ঘোষণার পর থেকেই তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে জল্পনার ঢেউ। কারণ কাম্মুলার আবেগঘন গল্প বলার ধরণ আর বিজয়ের রাউডি স্টাইল একত্রে মানে যেন দুই জগতের মেলবন্ধন।
বিজয় ইতিমধ্যেই 'গীতা গোবিন্দম', 'ডিয়ার কমরেড' আর 'পেল্লি চুপুলু' ছবিতে নিজের রোম্যান্টিক দাপট দেখিয়েছেন। অন্যদিকে, শেখর কাম্মুলার সিগনেচার রোম্যান্স বরাবরই আলাদা মাত্রা এনে দেয়। এই দুই জায়ান্ট যদি এক ছবিতে একত্রিত হন, তবে সেই প্রেমের গল্প হবে আবেগে, সৌন্দর্যে ও বাস্তবতায় পরিপূর্ণ।
একটি তথ্য যেটা এখন নতুন করে আলোচনায় এসেছে—বিজয় দেবেরাকোন্ডা এক সময় কাম্মুলার 'লাইফ ইজ বিউটিফুল' ছবিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তখন তিনি আজকের মত তারকা ছিলেন না। তাই এখন যদি তাঁরা একত্রে মূল চরিত্রে কাজ করেন, সেটি হবে এক অনন্য পুনর্মিলন।
যদিও এখনো পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবু কাম্মুলা নিজেই আগ্রহ প্রকাশ করায় দর্শকদের আশায় জ্বলে উঠেছে নতুন আলো। বিজয়ও 'কুশি'র পর অনেক বেশি পরিকল্পনা করে কাজ বেছে নিচ্ছেন। এমন একটি প্রেমের গল্প তাঁর কেরিয়ারে নতুন মোড় আনতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে।
প্রেমের গল্পের ক্ষেত্রে যেসব পরিচালক আজও বাস্তব ও স্বপ্নের মেলবন্ধন ঘটাতে পারেন, শেখর কাম্মুলা তাঁদের অন্যতম। আর বিজয়ের ইমেজে রয়েছে সেই উচ্ছ্বলতা, চুম্বকীয় আকর্ষণ ও হৃদয় ভাঙার সম্ভাবনা—যা এক পরিণত প্রেমের গল্পকে করে তুলতে পারে ভিন্ন মাত্রার।
এই প্রকল্প বাস্তবে রূপ নিলে, এটি হতে পারে এক নির্ভেজাল প্রেমের কাহিনি—যেখানে থাকবে স্টাইল, আবেগ, বাস্তবতা আর শুদ্ধ রোম্যান্স।
