‘নির্বাচিত সরকার এলেও দুর্নীতি পুরোপুরি বন্ধ হবে না, কিন্তু তার মাত্রা কমে আসবে : জাহেদ উর রহমান

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও এনসিপি নেতা জাহেদ উর রহমান বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। চেষ্টা থাকতে হবে।’ তিনি জানান, নির্বাচন হতে হবে এবং এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তুতি জরুরি।

তবে তিনি সতর্ক করেন, নির্বাচন ঘিরে যেভাবে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। আলোচনার একপর্যায়ে জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘উপদেষ্টা হওয়া মানেই যেন দেশের সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া।’ তিনি অভিযোগ করেন, অনেক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি একজন এপিএসের (সহকারী ব্যক্তিগত সচিব) উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘যদি কোনো এপিএস ঘুষ নেয়, সেটা আমাদের বোঝার মত বোধশক্তি আছে। তিনি জানান, উক্ত ব্যক্তির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যা প্রমাণ করে যে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির তথ্য সঠিক ছিল।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের এক টকশোতে এসব কথা বলেন জাহেদ উর রহমান।

উপস্থাপক যখন আওয়ামী লীগের দুর্নীতির ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে কথা তোলেন, তখন জাহেদ বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার এলেও দুর্নীতি পুরোপুরি বন্ধ হবে না, কিন্তু তার মাত্রা কমে আসবে। তিনি আরও বলেন, ‘নরওয়ের মতো উন্নত দেশেও দুর্নীতি আছে। বাংলাদেশে এটি এখন কালচারে পরিণত হয়েছে। এমনকি দেশের বাবা-মায়েরা গর্ববোধ করেন যদি তাদের সন্তান ঘুষ খাওয়া চাকরিতে ঢোকে। বিসিএসে এমন চাকরি বেশি চাওয়া হয়, যেখানে ঘুষ নেওয়ার সুযোগ বেশি।’

জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে দুইটি সবচেয়ে শক্তিশালী শক্তি হচ্ছে বিএনপি ও সেনাবাহিনী। এই দুই পক্ষই দ্রুত নির্বাচন চায়।’

তাঁর মতে, যদি এনসিপি ও জামায়াত নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয়, তাহলে মাঠে কেবল বিএনপি ও তাদের মিত্ররা থাকবে। এতে করে নির্বাচন কার্যক্রমে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ১২তম নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘১৩তম নির্বাচনেও তাদের প্রভাব থাকবে, বিশেষ করে যদি এনসিপি নির্বাচনে অংশ নেয়।’

আন্তর্জাতিক চাপ নিয়ে জাহেদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মহল থেকে চাপ বাড়তে পারে। আওয়ামী লীগকে যদি নিষিদ্ধ না করা হতো, তবে তাদের প্রার্থী খুঁজে পেতেই সমস্যা হতো।’ তিনি দাবি করেন, লীগের এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন, যার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যাবে না।

ইউটি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চাপের মুখে বাংলাদেশ, চা বিরতির আগেই ৫ উইকেট Jun 25, 2025
img
আওয়ামী সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের ইন্ধন থাকতে পারে : অর্থ উপদেষ্টা Jun 25, 2025
img
‘উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে ক্ষমা চাইতে হবে’ Jun 25, 2025
img
ইতিহাস সবাইকেই তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয় : আসিফ মাহমুদ Jun 25, 2025
img
এনসিসি থেকে সরে গেল ঐকমত্য কমিশন Jun 25, 2025
img
সঞ্জয়ের ১০ হাজার কোটির ব্যবসা, কারিশ্মার মেয়ে নয় তবে দায়িত্ব কার হাতে? Jun 25, 2025
img
রামের ভূমিকায় রণবীর, হনুমানের ভূমিকায় সানি দেওল! Jun 25, 2025
img
নোবেলের বিয়ে নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সালসাবিল Jun 25, 2025
img
অগ্নিনির্বাপণ মহড়া মেট্রোরেলের দুটি স্টেশনে Jun 25, 2025
img
শেখ হাসিনার পিএ জাহাঙ্গীরের ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা জব্দ Jun 25, 2025
img
বিএনপি কখনোই মবের পক্ষে নয় : ফারুক Jun 25, 2025
img
রিয়াল ছাড়ছেন মদ্রিচ, গন্তব্য ইতালিয়ান ক্লাব Jun 25, 2025
img
যেভাবেই হোক সমাজ থেকে মাদক উচ্ছেদ করতে হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jun 25, 2025
img
প্যান্ডেমিক পরবর্তী রিমেক ছবিগুলোর মধ্যে যেগুলো প্রথম দিনেই করেছে বাজিমাত Jun 25, 2025
img
ন্যারেশন নয়, ইয়ামি গৌতমের ভরসা শুধু স্ক্রিপ্টে Jun 25, 2025
img
ফারিণ নয়, দেবের নতুন নায়িকা হচ্ছেন কে? Jun 25, 2025
img
‘মালিক’-এ রাজকুমারের প্রত্যাবর্তন দেখে হতবাক ভক্তরা Jun 25, 2025
img
‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’ দিয়ে ১৯৫ কোটির নজির গড়লেন কপিল শর্মা Jun 25, 2025
img
‘কুবেরা’ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ালেন রশ্মিকা মান্দানা Jun 25, 2025
img
আমিরের না করা ছবিতেই ভাগ্য খুলে যায় সালমানের, হন সুপারস্টার Jun 25, 2025