ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে আজ বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রধান অতিথি হওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে সম্মেলনটি স্থগিত হয়ে যায়। ফলে জেলাজুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
বিএনপির দলীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি কে হবেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা নাকি ফরিদপুরের ৫ বারের সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।
এমন প্রশ্নে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ায় সমাবেশটি স্থগিত করা হয়েছে।
সদর উপজেলা কর্মী সম্মেলন স্থগিত হওয়ার ব্যাপারে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি আলী আশরাফ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, সম্মেলনে প্রধান অতিথি কে হবেন সেই বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ায় সমাবেশটি স্থগিত করা হয়েছে।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ ও সৈয়দ মোদাররেছ আলী যার যার অবস্থানে ছিলেন অনড়। কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি না থাকায় এ সমাবেশের আয়োজন করা হলে মারপিট ও রক্তাক্ত সংঘাত সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা ছিল।
বিধায় সদরের কর্মী সমাবেশ স্থগিত হয়ে যায়।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া জানান, সদরের কর্মী সমাবেশের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। যার কারণে সম্মেলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী বলেন, কিছু জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় সদরের সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।
কর্মী সম্মেলনের আয়োজনের জন্য ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দল পুনর্গঠন সংক্রান্ত সাংগঠনিক কমিটির ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুর রহমান বলেন, দলের সিনিয়র আর জুনিয়র যদি একই পর্যায়ে অতিথি হতে চায়, সেখানে সমস্যা হতে পারে। কোনো সমস্যা মনে হলে সমাবেশের সময় পিছিয়ে দেওয়া দোষের কিছু নয়। কয়েকদিন বিলম্ব হলেও ফরিদপুর সদরের কর্মী সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন হবে।
পিএ/টিকে