ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এবার ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বাস্থ্য কার্ড পেলেন তাঁরা মিয়া (৪৫) নামের এক যুবলীগ নেতা। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হওয়ায় ওই অবস্থায় বিতরণ করা স্বাস্থ্য কার্ড ফেরত চেয়েছে প্রশাসন। যাচাই-বাছাই শুরু করেছে কাগজপত্রও।
তাঁরা মিয়াকে উপজেলার পাগলা থানাধীন মশাখালী ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য দাবি করেছেন ওই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম চমক ফকির।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জুলাই যোদ্ধার স্বাস্থ্য কার্ডধারী যুবলীগ নেতা তাঁরা মিয়া ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল ও পৌরসভার সাবেক মেয়র এসএম ইকবাল হোসেন সুমনের ঘনিষ্ঠ লোক। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপির আনন্দ মিছিলের সময় তার ভাইয়ের অসাবধানতাবশত চোখে লাঠির আঘাতে আহত হন তিনি।
গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এনএম আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তালিকা অনুযায়ী আমরা কার্ড বিতরণ করেছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় আসার পর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) আহ্বায়ক এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রতিনিধিকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকালে গফরগাঁও উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ করে উপজেলা প্রশাসন। এতে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্য কার্ড পান মশাখালী ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য তাঁরা মিয়া।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগিতায় এবং উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জুলাই যোদ্ধাদের মাঝে এই স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন।
এ বিষয়ে পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. ফজলুল হক বলেন, শুনেছি জুলাই যোদ্ধা হিসেবে একজন যুবলীগ নেতাকে স্বাস্থ্য কার্ড দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি।
অভিযুক্ত তাঁরা মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, আমি স্থানীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। পরে বিএনপিতে যুক্ত হই। গফরগাঁওয়ে পরিবেশ ভালো না থাকায় আমি গাজীপুরের মাওনাতে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। আন্দোলনের সময় আমি ডান চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছি। আমি যে জুলাই আন্দোলনে আহত, তা প্রমাণ করব।
কেএন/টিকে