কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী (বীর-উত্তম) বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে ভাঙতে পারবে, মুছতে পারবে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে মানুষের মন থেকে মুছতে পারবে না। স্বাধীনতা কেউ ভাঙতে পারবে না, স্বাধীনতাকে কেউ মুছতে পারবে না। স্বাধীনতা অক্ষয় অমর। স্বাধীনতা আওয়ামী লীগের না, স্বাধীনতা বিএনপির না, স্বাধীনতা এনসিপির না, স্বাধীনতা ড. ইউনূসের না।’
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা মিলনায়তনে স্থানীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের উদ্যোগে আয়োজিত কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর শোকসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা বাংলাদেশের, স্বাধীনতা বাংলাদেশের মানুষের, স্বাধীনতা আমাদের সবার। চোর-ডাকাত কাউকে মেরে ফেলা যাবে না। তাদের আইনের দ্বারা শাস্তি দিতে হবে। যত দিন আমরা বিরোধীদের সম্মান দিতে পারব না, সমালোচকদের কথার মূল্য দিতে পারব না তত দিন আমরা সভ্য জাতি হিসেবে পরিচয় দিতে পারব না।’
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতন ন্যায়ের কাছে অন্যায়ের পতন। শেখ হাসিনার পতনে রাজনৈতিক দলের শ্রম আছে, ঘাম আছে। শেখ হাসিনার পতনে যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে তাদের ভূমিকা আছে।
সর্বোপরি আল্লাহর রহমতে জনগণের দ্বারা শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। আমি যদি ভবিষ্যতের শেখ হাসিনার মতো করি তাহলে আমারও তার মতো পতন হবে, অন্য কেউ করলেও তার পতন হবে। শেখ হাসিনা অনেক কিছুই মানুষের ইচ্ছার অনুযায়ী করতে পারে নাই বলে আল্লাহর তরফ থেকে তার পতন হয়েছে। যারা এই পতনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের সম্মান হাজার বছর থাকার কথা ছিল। কিন্তু তারাই তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে তারাই তাদের সম্মান খুইয়েছেন।
মানুষের সাড়া পেয়ে তারা তাদের বিজয় অর্জন করেছে সেই মানুষের জন্য যেন তারা চিন্তা করেন ভাবেন। ১৫-১৬ বছরের শেখ হাসিনার করা অন্যায় তারা যদি ১৫-১৬ মাসে করে বসেন তাহলে মানুষ কিন্তু তাদের স্মরণ করবে না।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি সেই জন্য বলি আর দলাদলি-হলাহলি না করে প্রত্যেকটা মানুষের নিরাপদে থাকার, নিরাপদে বসবাস করার, অন্যকে সম্মান দেওয়ার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।’
আবদুস সবুর খানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শামীম আলম মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান এসএম শওকত আলী, বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ হাবিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস শিকদার, দলের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য দেন।
কেএন/টিকে