আওয়ামী লীগ নিজেকে নিজে নিষিদ্ধ করেছে। তারা যদি রাজনীতি করতে চায়তো তাহলে তাদের দেশ থেকে পালানোর কথা না। মসজিদের ইমাম পর্যন্ত দেশ ছাড়া হয়েছে, পালিয়ে গিয়েছে। তারা রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত দিক থেকেই নিজেরা নিজেদের সামগ্রিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ নয়, তাদের দলীয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে— এতে কি আওয়ামী লীগের ফেরাটা সহজ হলো কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘দেখেন, আওয়ামী লীগ নিজেকে নিজে নিষিদ্ধ করেছে, আওয়ামী লীগ আছে। আওয়ামী লীগের তথাকথিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী যিনি নিজেকে দাবি করতেন, বিনা ভোটে। তিনি নিজেই একটি দেশ থেকে যখন পালিয়ে যান।
জামায়াত নেতা বলেন, তিনি তো সরকারপ্রধান, আবার দলীয় প্রধান। তিনি পালিয়ে যাওয়ার পর সেই দলের অস্তিত্ব কে স্বীকার করবেন, এটা তিনি নিজেই পালানোর মধ্য দিয়ে এটাকে এক দফা নিষিদ্ধ করেছেন। দ্বিতীয় হচ্ছে যে সেই দলের শুধুমাত্র তিনি না, এমপি, মন্ত্রী, চেয়ারম্যান, মেম্বার, বাজার কমিটি, মসজিদ কমিটি, মসজিদ ইমাম পর্যন্ত দেশ ছাড়া হয়েছে, পালিয়ে গিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত দিক থেকেই তারা নিজেরা নিজেদেরকে সামগ্রিকভাবে নিষিদ্ধ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় হচ্ছে জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আবার আরেক দফা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তো পরিষ্কার ডিক্লারেশন আছে যে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। একটা দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা আর তাদেরকে নিষেধ করা—আপনি কাজ যদি করতে না পারেন তাহলে আপনাকে আর কি অবস্থান আছে।
শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, চতুর্থ হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন সেটা ওনার নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু জনগণ এই কথা গ্রহণ করতে চায় না এবং তাদেরকে ভবিষ্যতে রাজনীতি করতে দেওয়া দরকার না। কারণ তারাই তো রাজনীতি করতে চায় না। রাজনীতি করতে চাইলে তো তাদের ফেস করা উচিত ছিল। গত ৫ই আগস্ট তাদের দেশে থাকা উচিত ছিল।
তারা যদি রাজনীতি করতে চাইত তাহলে তো তাদের দেশ থেকে পালানোর কথা না। সুতরাং যারা নিজেরা নির্বাচন করতে চায় না বিগত তিন টার্ম অর্থাৎ পনের বছর—আমাদের আমির খুব সুন্দর করে বলছেন যে, ওনারাই তো নির্বাচন চান নাই, ওনারা মানুষের ভোট চান নাই, সুতরাং তাদেরকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে হবে কেন?
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, তারা পনের বছর নির্বাচন থেকে জনগণকে বিচ্ছিন্ন রেখেছেন নিজেরাও বিচ্ছিন্ন থেকেছে। ডামি ইলেকশন, ডামি সরকার, ডামি বিরোধী দল, ডামি ভোটার তৈরি করেছে। তারা নিজেরাই একটি ডামি রাষ্ট্র পরিণত করে ফেলেছিল। তো সেই জায়গায় তাদের না রাজনীতি করার অধিকার থাকার কথা, না নির্বাচন করার অধিকার থাকার কথা, তারা নিজেরা নিজেদের রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে।
তিনি বলেন, তারা নিজেরা নিজেদেরকে নির্বাচন থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। সুতরাং এরকম একটা অরাজনৈতিক, অসাংগঠনিক পলাতক একটি দলকে এবং দেশকে যারা বিক্রি করার সকল ষড়যন্ত্র সম্পন্ন করেছে, দেশের মানুষকে জিম্মি করেছে, দেশে মানুষকে ডামি জনগণই পরিণত করেছে। তাদেরকে আগামী দিনে আর কোনো স্বপ্ন এদেশে মানুষ দেখে বলে জামায়াত ইসলামী মনে করে না।
আরএম