ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়েখ চরমোনাই) বলেছেন, বাহাত্তরের সংবিধান তিন মাস পর আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে আওয়ামী ২৯৩টি আসন পেলেও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে রাজবাড়ীর পাংশা পৌর সভা চত্ত্বরে উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়েখ চরমোনাই) বলেন, বাংলাদেশে ৭৩ থেকে আজ পর্যন্ত কেউ একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারে নাই। এই জন্য আমরা সংকানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, শুধু হাবিবুল আউয়াল কিংবা নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করলে হবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ নির্বাচনে যারাই দিনের ভোট রাতে করতে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। যাতে আগামীতে যারাই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে তারা অতীত থেকে শিক্ষা নিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে বৈষম্য দূর করতে ২ হাজার জীবন দিয়েছি। অগণিত মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করেছি। অথচ ৫ তারিখের পরে আবারও একটি দল দখলদারী, চাঁদাবাজি, জুলুম, অত্যাচার, অবিচার, হত্যা চালাচ্ছে। এইজন্য আমরা আওয়ামী বাহিনীর অস্ত্রের মুখে রাস্তায় নামি নাই। আমরা এদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে, বৈষম্য দূর করতে রাস্তায় নেমেছিলাম।
তিনি বলেন, আজ সময় এসেছে যারা আমাদের রক্তের ওপর দাড়িয়ে চাঁদাবাজির, দুর্নীতি খুন খারাপইতে মেতেছে তাদেরকে উৎখাত করতে হবে।
এই জন্য ইসলামিক দলকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তাহলেই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পাবে, মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে।
পাংশা উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান কবিরের সভাপতিত্বে গণ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম খান (জাহিদ হাসান), সহসভাপতি মো. মুস্তাফিজুর রহমান, কালুখালী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক, বালিয়াকান্দি উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি রঈস উদ্দিন প্রমুখ।
আরএম