গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, তরুণদের সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শুধু রাজধানীতে কার্যক্রম পরিচালনা করলে হবে না, দেশের বিভিন্ন জেলাতেও সক্রিয় হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরাম কর্তৃক আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাজের ভালো লোকগুলোকে নিয়ে ভবিষ্যতে গণফোরাম আরও শক্তিশালী হবে, এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন, সংগঠনের শক্তির উৎস হলো জনগণের ঐক্য। যখনি অনৈক্য হয়, তখন সংগঠন দুর্বল হয়। এমন পরিস্থিতি হলে সমাজে উন্নয়ন করা যায় না।
বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন নিয়ে যে আলাপ হচ্ছে, তা নিয়ে বোঝাপড়ায় অস্পষ্টতা রয়েছে। এগুলো একটি অন্যটির বিকল্প নয়, বরং একটি অন্যটির পরিপূরক। সংস্কার ও বিচারের জন্য নির্বাচনকে ধরে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। যারাই ক্ষমতায় আসুক, অন্যায়কারীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। বিচার না করলে বরং তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সংস্কারকে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিচারের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া কোনো রাজনৈতিক দাবি হতে পারে না। সংস্কার নিয়ে যতটা ঐকমত্য গঠিত হয়, সেটা নিয়ে নির্বাচনে যেতে হবে। বহু বছর এই দেশের জনগণ ভোট দিতে পারেনি।
তরুণেরা ভোট দিতে পারেনি। এই অধিকার থেকে বেশি দিন বঞ্চিত রাখলে তাদের প্রতি অবিচার করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সভাপতি পরিষদের সদস্য মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সুব্রত চৌধুরী, এস এম আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
আরএম