চীন সফর সফল হয়েছে : মির্জা ফখরুল

চীন সফরের মধ্য দিয়ে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

চীন সফর শেষে শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে দেশে ফিরে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের টার্মিনালে একথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

তিনি বলেন, আমাদের এই সফরটা ছিল রাজনৈতিক। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। আমাদের এই সফরটা সফল হয়েছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ মিটিং হয়েছে। পার্টি টু পার্টি সম্পর্ক আরও নিবিড়-শক্তিশালী হয়েছে।

‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে তারা দাওয়াত করেছেন এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা খুশি হয়েছেন যে তিনি এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমরাও তাদের দাওয়াত করেছি.. তারা তা গ্রহণ করেছেন।’

বিএনপি ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টি দুই বছরের মধ্যে একটা রাজনৈতিক ডায়ালগের জন্য দুই দলের মধ্যে একটা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করারও আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অভিভূত হয়েছি যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং -এর নেতৃত্বে কয়েক বছরের মধ্যে চীন একটা উঁচু পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । তার সমস্ত অনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তি দিয়ে। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের জন্য নয়, সমস্ত বিশ্বের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

গত ২২ জুন রাতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল চীন যান। প্রথমে তারা বেইজিং গ্রেট হলে কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী সান ওয়েইডং, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও এবং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝং এর সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব।

মহাসচিবের সঙ্গে এসব বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহ উল্লাহ, সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ও চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ছিলেন।


পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আমরা জুলাই যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে চাই : রিজভী Jun 28, 2025
img
বাংলাদেশ ১ নম্বর দল হতে পারবে না কেন প্রশ্ন বুলবুলের Jun 28, 2025
img
হিজরি নববর্ষের প্রথম জুমায় যা বললেন মসজিদুল হারামের খতিব Jun 28, 2025
img
রাজধানীতে প্রথম ধাপে দুটি জোনে ই-রিকশা চালু করা হবে : আসিফ মাহমুদ Jun 28, 2025
img
মব কালচারের মতো ঘটনা থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হবে: রিজভী Jun 28, 2025
img
কানাডার সাথে আর আলোচনা না, স্পষ্ট জানালেন ট্রাম্প Jun 28, 2025
img
কুষ্টিয়ায় ট্রাক ও বাস চাপায় নিহত ১ Jun 28, 2025
img
গরুর মাংস রফতানি করাও সরকারের লক্ষ্য: উপদেষ্টা ফরিদা Jun 28, 2025
img
তেহরানে বিস্ফোরণে এয়ার ডিফেন্স চালু করল ইরান Jun 28, 2025
img
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দাঁড়িয়ে থেকে শুধু বাঁশি বাজায় : আব্দুন নূর তুষার Jun 28, 2025
img
মৃত্যুর আগে শেফালিকে কী অবস্থায় দেখেন আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী? Jun 28, 2025
img
ইরান নয়, শত্রুপক্ষই যুদ্ধবিরতির ভিক্ষা চেয়েছিল: সাবেক বিচারক Jun 28, 2025
img
কুবেরা শো চলাকালীন দুর্ঘটনা স্মৃতি ফেরালো ‘পুষ্পা ২’-এর Jun 28, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে ফ্রি ট্রেড জোন, আমদানি-রফতানিতে নতুন গতি Jun 28, 2025
img
দ্বিতীয় স্বামী পরাগের ঘরে সুখ ছিল অভিনেত্রী শেফালির? Jun 28, 2025
img
আমচাষি ভিসায় বিমানভাড়া ছাড়াই যাওয়া যাবে আলজেরিয়া Jun 28, 2025
img
ফের মা হলেন ইলিয়ানা, প্রকাশ্যে আনলেন সন্তানের মুখ Jun 28, 2025
img
রাজশাহীতে আ. লীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল বিএনপি নেতারা Jun 28, 2025
img
মানবিক সহায়তায় ৩০ মিলিয়ন ডলার দিল সৌদি আরব Jun 28, 2025
img
হলিউড তারকা ব্র্যাড পিটের বাড়িতে চুরি Jun 28, 2025