অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা দূর করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, প্রধান উপদেষ্টার সাথে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে সকল বিভ্রান্তির অবসান ঘটবে এবং নির্বাচন কমিশন দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট পথনকশা ঘোষণা করবে।
শনিবার (২৮ জুন) পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক।
সভায় সাইফুল হক বলেন, নির্বাচনকে একধরণের রাজনৈতিক ব্যবসা ও অর্থবিত্ত গডে তোলার মাধ্যমে পরিণত করা হয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়াকে অলাভজনক করতে হবে। বিদ্যমান ব্যবস্থার খোলনলচে পাল্টানো ছাড়া অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সেসব কারণে অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কিত হয়ে পড়েছে সরকার উচিৎ হবে সেসব ইস্যু থেকে বেরিয়ে আসা।বিদ্যমান সংকট উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে তাদের দলনিরপেক্ষ বৈশিষ্ট নিশ্চিত করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশী কোন কোম্পানিকে লীজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী ও অদূরদর্শী। দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ কোন সরকার আমাদের প্রধান সমুদ্র বন্দরকে বিদেশীদের হাতে তুলে দিতে পারেনা। তাছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের এতোবড় জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ারও কোন এখতিয়ার নেই।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর আমাদের অর্থনীতির প্রধান লাইফলাইন। এই বন্দরের সাথে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে যুক্ত রয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বন্দর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার কথা বলে কোনভাবেই আমরা বিদেশি কম্পানির তত্ত্বাবধানে দিয়ে দিতে পারি না। সরকারকে জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি সৃষ্টিকারী সকল তৎপরতা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।
এ সময় জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তীতে মাসব্যাপী কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।
এফপি/ টিকে