রোগীদের জন্য সরবরাহ করা খাবারে অনিয়ম ও ডাক্তারদের অনুপস্থিতিসহ বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় তারা বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে দুদকের চাঁদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, রোগীদের দুপুরের খাবারে মুরগি কিংবা রুই মাছের পরিবর্তে পাঙাস মাছ দেওয়া হচ্ছে।
যদিও সরকারি নথিপত্রে রুই মাছ দেওয়ার কথা। এ ছাড়াও, প্রতিটি রোগীকে ১৮৬ গ্রাম মাছ দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে দেওয়া হচ্ছিল মাত্র ৮৮ গ্রাম। এই বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। অভিযানে দুজন চিকিৎসককে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পাওয়া যায়।
তবে তাদের অনুপস্থিতির কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। এ ছাড়া কর্তব্যরত অবস্থায় একজন চিকিৎসক টাকার বিনিময়ে রোগী দেখার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। হাসপাতালের অপরিষ্কার পরিবেশ এবং নার্সদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগও দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখে টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে দুদক জানিয়েছে, তারা এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনবে এবং সকল নথিপত্র সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
একই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং এর জন্য প্রয়োজন টেকনিশিয়ান না থাকাও দুদকের নজরে পড়েছে।
দুদকের অভিযোগের বিষয়ে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কেএম আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিনি দুদককে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
অভিযান সম্পর্কে দুদকের চাঁদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেন জানান, সকল তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন এবং কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া রোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী হয়রানি এবং মানসম্মত সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি।
কেএন/টিকে/টিএ