জামায়াত ক্ষমতায় এলে হিন্দুরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে : রফিকুল ইসলাম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, খেয়াল করে দেখবেন এবার হিন্দুরা জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবে। হিন্দুদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।


বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ক্ষমতায় এলে হিন্দুরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে। নাগরিক হিসেবে সব নাগরিক অধিকার তারা পাবে। মুসলমান যেমন তাদের ধর্মীয় অধিকার পালন করে, হিন্দুরাও তেমনভাবে তাদের ধর্মীয় অধিকার পালন করার সুযোগ পাবে। ইসলামী সরকার হিসেবে অমুসলিমদের সব ধর্মীয় উৎসব পালনে নিশ্চয়তার গ্যারান্টি দেবে।


সোমবার (৩০ জুন) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পুর্নিমাগাঁতী ইউনিয়ন শাখা আয়োজিত দায়িত্বশীল সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় এলে মহিলাদের ঘরে রাখব না। মহিলারা হচ্ছে মায়ের জাত, তাদের স্থান সবার উপরে। জামায়াতে ইসলামী যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়, মহিলাদের জন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছুই থাকবে। মহিলারা বিসিএস পরীক্ষা দেবে, আর্মি অফিসার হবে, পুলিশ অফিসার হবে। মহিলারা ব্যাংকের ম্যানেজারও হবে, আমরা শুধুমাত্র জায়গাটা আলাদা করে দেব। মা বোনদের ব্যাংকে গিয়ে পুরুষের সঙ্গে লাইন ধরে কিংবা ধাক্কাধাক্কি করে টাকা তুলতে হবে না। মহিলারা যে ব্যাংকে যাবেন, সেই ব্যাংকের ম্যানেজার থেকে সবাই হবেন মহিলা।

রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, আমরা ক্ষমতায় বসতে চাই না, আমরা ইসলামকে ক্ষমতায় বসাতে চাই। আমরা যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাই, আমরা রাজা হব না। জনগণকে আমরা প্রজা বানাবো না। আমরা হবো জনগণের সেবক। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না। ভয় করব না, নির্ভরশীল হব না এবং সাহায্য চাইব না।

তিনি আরও বলেন, এক ফ্যাসিবাদকে বিদায় করেছি, বাংলার মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিবাদকে আমরা জন্ম হতে দেব না। বাংলাদেশের মানুষ এই বিষয়ে বদ্ধপরিকর।

আয়োজিত এই সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক শাহজাহান আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদ, অফিস সম্পাদক আব্দুল বারীসহ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের নেতারা।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে অব্যাহতি : ট্রাম্পের আদেশ বাতিল করলেন আদালত Sep 16, 2025
img
ভাঙ্গার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে : ডিআইজি রেজাউল করিম Sep 16, 2025
img

এশিয়া কাপ ২০২৫

বাংলাদেশের টিকে থাকার লড়াই আজ Sep 16, 2025
img
সাক্ষ্য দিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান Sep 16, 2025
img
দুপুরে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে আসবেন নাহিদ ইসলাম Sep 16, 2025
img
জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের মতবিনিময় Sep 16, 2025
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ইসলামের অবস্থান | ইসলামিক জ্ঞান Sep 16, 2025
"আ:লীগ ও বিএনপিকে আগামী দিনের বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না" Sep 16, 2025
img
তিস্তা প্রকল্প যাচাইয়ে বাংলাদেশে আসছে চীনের বিশেষজ্ঞ দল: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Sep 16, 2025
img
ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কাতারের পাশে ইসলামি বিশ্ব: এরদোয়ান Sep 16, 2025
img
পোশাক নিয়ে কাউকে হেয় করা চলবে না : সাদিক কায়েম Sep 16, 2025
img
ভাঙ্গার সীমানা ইস্যুতে ইসিতে ডিসির চিঠি Sep 16, 2025
img
বাগেরহাটে হরতাল প্রত্যাহার করে ইসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান Sep 16, 2025
img
‘শত্রুতা’ ভুলে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করল তৃণমূল Sep 16, 2025
img
নগদ নির্ভরতা কমাতে আসছে অভিন্ন লেনদেন ব্যবস্থা Sep 16, 2025
img
৪১% মাশুল বাড়ল চট্টগ্রাম বন্দরে Sep 16, 2025
img
ন্যায়ভিত্তিক শাসনে না ফিরলে মবের মূলক শব্দটি বাস্তবে স্থায়ী হবে: জিল্লুর রহমান Sep 16, 2025
img
নির্বাচনে গ্রুপিং নিয়ে বুলবুলের মন্তব্য Sep 16, 2025
img
শুধু কথা দিয়ে ইসরায়েলি বর্বরতা থামবে না : পেজেশকিয়ান Sep 16, 2025
img
রশিদ খানরা এগিয়ে, তবুও রিশাদে ভরসা রাখছেন মুশতাক Sep 16, 2025