জামায়াতের সঙ্গে জোট ও পিআরে নুরের একমত প্রকাশ

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। মঙ্গলবার ( ১ জুলাই) রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দল দুটি ভোটের আনুপাতে (পিআর) আসন বণ্টন পদ্ধতিতে আগামী সংসদ নির্বাচন এবং সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। দল দুটি আগামী নির্বাচনে জোট গড়তে পারে বলেও একমত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র। দলটি গত সপ্তাহেও বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে। নুরকে পটুয়াখালী-৩ আসনে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে সহায়তা করতে স্থানীয় নেতৃত্বকে চিঠিও দিয়েছিল দলটি। তবে ঐকমত্য কমিশনের সংস্কারের সংলাপে গণঅধিকারের অবস্থান বিএনপির বিপরীতে এবং জামায়াতের কাছাকাছি।

আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে যে বৃহত্তর নির্বাচনী সমঝোতার কথা শোনা যাচ্ছে, তাতে জামায়াত ও গণঅধিকারও রয়েছে। গতকাল বৈঠকের পর নুরকে পাশে নিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, জামায়াত ও গণঅধিকার পরিষদ আসন্ন নির্বাচনে ইসলামী দলসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্যান্য দলকে নিয়ে জোট গঠনে একমত হয়েছে।

ডা. তাহের বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনের কয়েকটি বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দেশের সব ছোট-বড় দলের মতামতের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে উভয় দল সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে আয়োজনের দাবি জানিয়েছি। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অকার্যকর থাকায় জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত। তাই সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি। দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে একমত পোষণকারী সব দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এসব দাবি আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মতবিনিময় সভায় জামায়াতের পক্ষে ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম ও অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। গণঅধিকারের পক্ষে ছিলেন মুখপাত্র ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিলউজ্জামান, আব্দুজ জাহের, হাবিবুর রহমান রিজু ও রবিউল হাসান।


 পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সামরিক ট্যাঙ্কের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল চিন Jul 02, 2025
img
বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ, জাপানকে দোষারোপ ট্রাম্পের Jul 02, 2025
img
ঢাকায় আংশিক মেঘলা আকাশ, স্বস্তির আশা Jul 02, 2025
img
পদ্মার পানি বাড়ছে! Jul 02, 2025
img
রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করলেই ৫০০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রে Jul 02, 2025
img
আহত হয়েও শুটিং শেষ করলেন আদা শর্মা Jul 02, 2025
img
সাত অঞ্চলে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতির ঝড়ের আভাস Jul 02, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যুর মিছিল, নিহত ১০৯ Jul 02, 2025
img
ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী সাফল্য! Jul 02, 2025
img
দুই ঘণ্টার চেষ্টায় টিকাটুলির কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে Jul 02, 2025
img
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সর্বাধিক পতন, সংকটে যুক্তরাষ্ট্র Jul 02, 2025
img
ঝিনাইদহ সীমান্ত দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো ভারত Jul 02, 2025
img
জবি শিক্ষকের নামে মিথ্যা প্রচারের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ Jul 02, 2025
দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করল লাগেজ ট্রলি Jul 02, 2025
img
টিকাটুলিতে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট Jul 02, 2025
img
দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের Jul 02, 2025
প্রতিটি শহীদ পরিবারের সম্মানজনক পুনর্বাসনের আশাবাদ খালেদা জিয়ার Jul 02, 2025
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা কতটা উপযোগী, ভেবে দেখার অনুরোধ তারেক রহমানের Jul 02, 2025
img
'আমি ছাড়া কে আছে আমার' Jul 02, 2025
img
৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি ইসরায়েল Jul 02, 2025