বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধান ছাড়া নির্বাচন হলে অংশগ্রহণ করব না : নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধান রচনা বাদ দিয়ে নির্বাচন হলে আমরা সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। আর সেই নির্বাচন জনগণের নির্বাচনও হবে না।’

বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড়ে আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে মৌলিক সংস্কারের জন্য যে কার্যক্রম চলছে, জুলাই সনদ এ মাসে হওয়ার কথা সেই সনদ আদায়ের জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি।
জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বিজয় হবে, ইনশাআল্লাহ।’

এনসিপির এই আহ্বায়ক বলেন, ‘ভারত অন্যায্যভাবে আমাদের নদীর পানির হিস্যা বুঝিয়ে দেয় না। জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃত্বে নদী ও সীমান্ত সুরক্ষা আন্দোলন শিগগিরই শুরু হবে। আমরা এ অঞ্চলের মানুষের নদীর অধিকার, সীমান্তে বেঁচে থাকার অধিকার আদায় করে ছাড়ব।

তিনি বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে বাংলাদেশের মানুষের আহ্বানে এবং শত শত শহীদের আত্মত্যাগের ঋণ শোধ করতেই আমাদের দল গঠন করতে হয়েছে। যাতে আপনারাও একটা বিকল্প পান, একটা বিকল্প নেতৃত্ব বেছে নিতে পারেন। আমাদের সহায়তা করুন, সহযোগিতা করুন। বাংলাদেশের তরুণরা যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে সেই লড়াই আমরা-আপনারা একসঙ্গে থাকব।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের যে আঞ্চলিক বৈষম্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কাজের অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যোগাযোগসহ তথ্য-প্রযুক্তির উন্নতির মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই।’

এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় সংগঠক রাসেল আহমেদ, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার, আসাদুল্লাহ আল গালিব ও আবু সাঈদ লিয়ন, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক নাজমুল হাসান সোহাগ, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু এবং মোহাম্মদ আতাউল্লাহ প্রমুখ।

টিএ/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মিয়ানমারে অবৈধভাবে পণ্য পাচারের সময় ১১ জনকে আটক করেছে নৌবাহিনী Sep 16, 2025
img
চবিতে ‘হোস্টেল সংসদ’ নির্বাচনের ঘোষণা Sep 16, 2025
img
সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ Sep 16, 2025
img
বিশ্ববাজারে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম Sep 16, 2025
img
দুই জয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে শ্রীলঙ্কা, খালি হাতে বিদায় নিল হংকং Sep 16, 2025
img
ভোজ্যতেল আমদানিতে ব্যয় বৃদ্ধি করল এনবিআর Sep 16, 2025
img
ইভ্যালি থেকে বেরিয়ে একই কৌশলে প্রতারণা, নারী গ্রেপ্তার Sep 16, 2025
img
এশিয়া কাপ জিতেনি বাংলাদেশ গুগোল করে নিশ্চিত হলেন ট্রট Sep 16, 2025
img
ড. ইউনূস ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের স্বপ্ন বিনষ্ট হবে : রাশেদ খান Sep 16, 2025
img
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য উমামার লিখিত আবেদন Sep 16, 2025
img

মাসুদ সাঈদী

জনগণের ভালোবাসা অর্জন করুন, তাহলে নির্বাচন বর্জনের দরকার হবে না Sep 16, 2025
img
আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ Sep 16, 2025
img
আগস্টে ৪৯ মামলায় জড়িত ৩১১ দুর্নীতিবাজ Sep 15, 2025
img
১৫ কেজির কোরাল মাছ বিক্রি ১৮ হাজারে Sep 15, 2025
img
শ্রীলঙ্কার সামনে হংকংয়ের ১৫০ রানের চ্যালেঞ্জ Sep 15, 2025
img
নিকুঞ্জে নাগরিক জাগরণ: হারানো শান্তি ফিরে পাওয়ার গল্প Sep 15, 2025
img
সুপার ফোরে খেলবে বাংলাদেশ, আত্মবিশ্বাসী কোচ Sep 15, 2025
img
ম্যাচের আগে বাংলাদেশের প্রশংসায় জনাথন ট্রট Sep 15, 2025
img
অসুস্থ অমিতাভকে ২০০ জন ৬০ ব্যাগ রক্ত দিয়েছিলেন Sep 15, 2025
img
অতিরিক্ত ৬ বছরের কারাভোগ শেষে ভারতে ফিরলেন রামাতা Sep 15, 2025