জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ককে ‘অবাঞ্ছিত’ (পারসোনা নন গ্রাটা) ঘোষণা করেছে ভেনেজুয়েলার পার্লামেন্ট। মঙ্গলবার দেশটির জাতীয় পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
সম্প্রতি ফলকার টুর্ক দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে নির্বিচার গ্রেফতার, গুম এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনায় সরব হন। এরপরই তাকে ভেনেজুয়েলার পার্লামেন্ট ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করল।
গত সপ্তাহে জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে টুর্ক এসব অভিযোগ তুললে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে।
এর আগে ভেনেজুয়েলা অভিযোগ করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল সালভাদরের একটি কারাগারে পাঠানো ভেনেজুয়েলার লোকজনের অধিকার রক্ষায় ফলকার টুর্ক ব্যর্থ হয়েছেন। পাশাপাশি মার্কিন অভিবাসন প্রক্রিয়ার কারণে বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে পড়া ভেনেজুয়েলার শিশুদের ফেরত পাঠানোরও আহ্বান জানায় মাদুরো সরকার।
এ বিষয়ে ফলকার টুর্কের দপ্তর থেকে প্রাথমিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
‘পারসোনা নন গ্রাটা’ বা ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার কোনো তাৎক্ষণিক আইনি বা কূটনৈতিক প্রভাব নেই। অতীতেও জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে ভেনেজুয়েলা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক সা’ব সরকারবিরোধী রাজনৈতিকদের আটকের বিষয়টি সবসময় অস্বীকার করে আসছেন।
তিনি গাজায় ইসরায়েলের হামলা নিয়ে ফলকার টুর্কের অবস্থানেরও সমালোচনা করে আসছেন এবং তার পদত্যাগ দাবি করেন।
সূত্র : রয়টার্স
এমআর