ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তেহরানে নিজ বাসভবন ইমাম খোমেনি হুসেইনিয়াতে আয়োজিত মহররমের উচ্চ পর্যায়ের বার্ষিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
বুধবার রাতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর এ আয়োজনে তিনি অংশ নিতেন, কিন্তু এবার অনুপস্থিতি জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর থেকে প্রায় ২২ দিন ধরে আয়াতুল্লাহ খামেনি জনসমক্ষে আসেননি।এমনকি নিহত শীর্ষ সেনা কমান্ডারদের জানাজাতেও তিনি উপস্থিত হননি, যা সাধারণত তার রুটিনের অংশ।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে তার অনুপস্থিতির বিষয়ে উল্লেখ না করলেও সংবাদ প্রচারে বিষয়টিকে স্বাভাবিক দেখানোর চেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু বিবিসি পার্সিয়ান সার্ভিস বলছে, আলী খামেনির জনসমক্ষে না আসা ইঙ্গিত দেয় যে তার জীবন এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ‘চ্যানেল ১৩’ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা খামেনিকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এমন কোনো কার্যকর সুযোগ তৈরি হয়নি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও তার বক্তৃতায় বলেছিলেন যে, আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যা করলে যুদ্ধের অবসান হতে পারে।
ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের মাঝামাঝি সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি জানেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ঠিক কোথায় লুকিয়ে আছেন কিন্তু এখনই তাকে হত্যা করার কোনো ইচ্ছা তার নেই।
এর আগে, রয়টার্স সংবাদ সংস্থা দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানি নেতাকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায় ভেটো দিয়েছেন।
এমআর