এক বছর পর থেমে গেল জুলাই আন্দোলনের স্পৃহা, ব্যাখ্যায় রুমিন ফারহানা

এক বছর আগে, জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তি মাফিয়া সরকারবিরোধী আন্দোলনে একটি প্ল্যাটফর্মে একত্রিত হয়েছিল। কিন্তু এক বছর পর এসে দেখা যাচ্ছে, সেই ঐক্য আর আগের মতো নেই। প্রশ্ন উঠছে—সেই শক্তিশালী ঐক্য ভাঙল কেন? এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে জুলাই আন্দোলনের সেই দৃঢ় ঐক্য এবং নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘আজ থেকে এক বছর আগে দল-মত নির্বিশেষে আমরা একমত হয়েছিলাম একটি ফ্যাসিবাদী, লুটতরাজে নিমজ্জিত সরকারকে আর এক মুহূর্তও সময় দেওয়া যাবে না। সেই ঐক্যের ভিত্তিতেই এক মাস পাঁচ দিন তীব্র আন্দোলন হয়েছিল। আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছিল।’

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘ওই সময়ের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা, বাকস্বাধীনতা ও আইনের শাসন ফিরিয়ে আনা এবং গুম-খুনের রাজনীতি থেকে দেশকে মুক্ত করা। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো কোনো মতভেদ নেই। মতপার্থক্য কেবল রয়েছে পদ্ধতি নিয়ে—কীভাবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি, সমাজ এবং রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অত্যাবশ্যক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্যও নির্বাচন প্রয়োজন।

সংস্কার ইস্যুতে বিএনপির ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে ভিশন ২.০ ও ৩.০, পরবর্তীতে ২৭ দফা এবং সর্বশেষ ৩১ দফা সংস্কারের রূপরেখা দেওয়া হয়। এ ৩১ দফা কেবল বিএনপির নয়, আন্দোলনে যুক্ত সব দলের সম্মিলিত দফা ছিল। এখন যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোর অনেক অংশই এ দফাগুলোর অন্তর্ভুক্ত।’

তিনি জানান, বিএনপি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারের ৪৭ সুপারিশের মধ্যে ৪৬টিতে একমত, বিচার বিভাগ সংস্কারে ৪২টি সুপারিশে একমত, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে ২৪৩ সুপারিশের মধ্যে ১৪১টি এবং জনপ্রশাসন সংস্কারে ২১৬ সুপারিশের মধ্যে ১৮৭টিতে সম্মতি জানিয়েছে।

বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘৯০ শতাংশের বেশি সংস্কারে আমরা একমত হয়েছি। 


ইউটি/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
টিভি ও সংবাদপত্রের কিছু কর্তা সরাসরি সহিংসতা উসকে দিয়েছিলেন: উপ-প্রেস সচিব Jul 04, 2025
img
সহ-অভিনেতাদের বলা হতো আমাকে এড়িয়ে চলতে: ফতিমা সানা শেখ Jul 04, 2025
img
শুরুটা ভালো হলেও ব্যাটিং ধসে লঙ্কানদের বিপক্ষে পরাজয় বাংলাদেশের Jul 04, 2025
img
সাফল্য নয়, সংগ্রামই তৈরি করেছে ঋতুপর্ণাকে Jul 04, 2025
img
'সে তো আজও বোঝে না' - সোহম চক্রবর্তীর অচেনা রূপ ফার্স্ট লুকে! Jul 04, 2025
img
সাজিদ খানের সঙ্গে তিক্ত অভিজ্ঞতা প্রকাশ করলেন এষা Jul 04, 2025
img
আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার এখনো পাই নাই: আবু সাঈদের ভাই Jul 04, 2025
জিম নয়, জাদুকরী পানীয়ই অক্ষয়ের ফিটনেসের চাবিকাঠি! Jul 04, 2025
ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জুলাই শহীদ রনির মা! Jul 04, 2025
img
প্রচারের চেয়ে অভিনয়ে বেশি মনোযোগ অমৃতা চট্টোপাধ্যায়ের Jul 04, 2025
img
বিচার-সংস্কারের মধ্য দিয়ে নির্বাচন আমাদের মূল লক্ষ্য : হাসনাত আবদুল্লাহ Jul 04, 2025
img
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ পরিবারের কেউ ভর্তি হতে এলে বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে : উপাচার্য Jul 04, 2025
img
‘প্রজাপতি ২’ সিনেমায় দেব-জ্যোতির্ময়ী জুটি, এল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা Jul 04, 2025
img
ধনেপাতার কেজি ৬০০ টাকা Jul 04, 2025
img
আবু সাঈদের রক্তের সঙ্গে কেউ বেইমানি করবেন না: এটিএম আজহারুল ইসলাম Jul 04, 2025
img
১৬ বছর পর ধরা পড়ল ‘গুডু আরিফ’ Jul 04, 2025
স্বাধীনতা দিবসের আগেই ট্রাম্পের 'বিগ বিউটিফুল বিল' পাস Jul 04, 2025
img
‘ট্রেটর্স’ জিতেও শান্তি নেই, শুভেচ্ছার বদলে হুমকি পাচ্ছে উরফি! Jul 04, 2025
img
দীর্ঘ বিরতির পর আবারও মঞ্চে ব্ল্যাকপিঙ্ক Jul 04, 2025
img
সংবিধান ছুড়ে ফেলার কথা বললেই তা বাতিল হয়ে যায় না: রিজভী Jul 04, 2025