বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটগুলো আওয়ামী লীগের নৌকার জন্য রিজার্ভ ছিল। হিন্দু সম্প্রদায় স্বীকার করেছেন, শতভাগ না হলেও ৯৯ ভাগ নৌকায় ভোট দিই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে কোনোদিন কিছু পায়নি। আওয়ামী লীগ শুধু হিন্দুদের ব্যবহার করেছে মাত্র।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইল ডিগ্রী কলেজে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আযম খান বলেন, আমরা সকল ধর্মের উন্নয়নে বিশ্বাস করি, সকল ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। এটা হলো আমার দলের নীতিমালা। সেই নীতিমালার ভিত্তিতে আমরা যতবার ক্ষমতায় গিয়েছি, ততবারই সকল ধর্মের মানুষের জন্য কাজ করেছি।
কোনো ধর্মের মানুষ বলতে পারবে না, যে আমাদের ধর্মের জন্য বিএনপি কিছু করেনি। গত ১৭ বছরে সারা বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপরে, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের ওপরে অনেক নির্যাতন ও হামলা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখন কতিপয় রাজনৈতিক দল নির্বাচনী মাঠে জনগণের সাড়া না পেয়ে নানা রকমের কথা বলছে, কেউ পিআর পদ্ধতির কথা বলছে, কেউ সংস্কারের ধোঁয়া তুলে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, কেউ বিচারের কথা বলে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। অর্থাৎ নানাজন নানাভাবেই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আমি বলবো, এই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া মানে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দেওয়া, বাংলাদেশের শিল্পায়নকে পিছিয়ে দেওয়া, বাংলাদেশের সমৃদ্ধিকে পিছিয়ে দেওয়া। তাই কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদের বলবো আসুন, রাজনীতির মাঠে আসুন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূর নবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিখিল কুমার রতন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ মোহন সরকার, সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ স্বপন কুমার, হিন্দু কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ভজন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।
এমআর