গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্ম বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে উঠেছে : নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি আপনাদেরকে কোনো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবে না।আমরা প্রথাগত রাজনীতিবিদদের মতো বলব না, আপনাদের জন্য আমরা এই করে দেব, সেই করে দেব। আমরা আপনাদেরকে এতটুকু বলতে চাই- সময়ের প্রয়োজনে আমরা রাজনৈতিক হয়ে উঠেছি, রাজনৈতিক দল গঠন করতে হয়েছে।

শনিবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার পঞ্চম দিনে নওগাঁ জেলা এনসিপি এ পথসভার আয়োজন করে। এর আগে এদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের দয়ালের মোড় এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু করেন এনসিপির নেতাকর্মীরা।

নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে উঠেছে।আপনাদের কাছে সেই বিকল্প নেতৃত্ব, বিকল্প ইশতেহার আমরা প্রস্তাবনা করছি। আপনারা মিলিয়ে নেবেন, বাংলাদেশের জনগণ কোন পথে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।

বাংলাদেশের জনগণ গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকারের দ্বারা জুলুমের শিকার হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে। এই নওগাঁতেও আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। এক বছর পার হলেও আমরা কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পারছি না। এই কারণে আমরা বলছি বিচার সংস্কার এবং নতুন সংবিধানই হচ্ছে আমাদের অন্যতম দাবি। বিচার সংস্কার এবং নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে দেশ পুনর্গঠন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এখানে একটু আগে একটি প্ল্যাকার্ড দেখেছিলাম, ‘স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনবো’। আমরা একাত্তরে স্বাধীনতা এনেছিলাম, কিন্তু সেই স্বাধীনতা বেহাত হয়ে গিয়েছিল। সেই স্বাধীনতার সুফল আমরা ভোগ করতে পারি নাই। আমরা এবার চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে কোনোভাবেই বেহাত হতে দেব না।

আজকের এই নওগাঁ থেকে এটিই আমাদের প্রতিজ্ঞা- স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনবো এবং এই স্বাধীনতাটাকে আমরাই রক্ষা করব। তবেই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রকৃত মর্যাদা দেওয়া হবে।

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সার্জিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মনিরা শারমিনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img

ফরিদা পারভীনের প্রয়াণ

জানি না আমার বাঁশির সুরের কী হবে : গাজী আবদুল হাকিম Sep 15, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর লাহোর, ঢাকার অবস্থান ১৯তম Sep 15, 2025
img
দুদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় Sep 15, 2025
img

‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’

উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তারুণ্যের ভূমিকা অপরিসীম: প্রধান উপদেষ্টা Sep 15, 2025
img
এক বিড়ালই স্বরা-ফাহাদকে নিয়ে যায় বিয়ের পিঁড়িতে! Sep 15, 2025
img
ভারত থেকে ২০০ নতুন কোচ কিনছে বাংলাদেশ রেলওয়ে Sep 15, 2025
img
ডাকসুর পর জাকসুতেও জিতল এক দম্পতি Sep 15, 2025
img
১৫ বছর বয়সে ইতিহাস গড়লেন ওয়েন কুপার Sep 15, 2025
img
ভাঙ্গায় যান চলাচল স্বাভাবিক, রাস্তার পাশে আন্দোলনকারীদের অবস্থান Sep 15, 2025
img
টিকটক নিয়ে আলোচনা এখনও চলমান, ফলাফল নির্ভর করছে চীনের ওপর: ট্রাম্প Sep 15, 2025
img
রাকসু হল সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৯ জন নির্বাচিত Sep 15, 2025
img
আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৫ সেপ্টেম্বর) Sep 15, 2025
img
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ান সরকারের পদত্যাগ দাবি Sep 15, 2025
img
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে প্রথম রিলিজ স্লিপের ফল প্রকাশ বিকেলে Sep 15, 2025
img
ন্যাটো জোটের মতো সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে চায় মিশর Sep 15, 2025
img
ইসলামি দেশগুলোকে সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের Sep 15, 2025
img
বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভেনেজুয়েলা Sep 15, 2025
img
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির নামে ১১৫৯ কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ-পাচার’ Sep 15, 2025
img
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার নদীর পানি, খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যারাজের সব কটি জলকপাট Sep 15, 2025
img
কাতার ইস্যুতে ইসরাইলকে খুব সতর্ক হতে হবে, বললেন ট্রাম্প Sep 15, 2025