কোরবানির পশুর চামড়ার উপযুক্ত দাম নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাঁচা চামড়া রপ্তানির জন্য অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী বলেন, উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
নির্ধারিত মূল্যে কোরবানির পশুর চামড়া কেনা-বেচা না হওয়ার তথ্য তুলে ধরে চামড়া ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালার (২০১৯) অনুযায়ী, বাংলাদেশের ২২০টি ট্যানারি থেকে বছরে প্রায় ২৫০ কোটি বর্গফুট কাঁচা চামড়া (হাইড ও স্কিন) প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই (৬৩ দশমিক ৯৮) গরুর চামড়া। এরপর ছাগলের চামড়া ৩২ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও মহিষের চামড়া ২ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং ভেড়ার চামড়া রয়েছে ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। উৎপাদিত প্রক্রিয়াজাত চামড়ার মধ্যে ৭৬ শতাংশের বেশি রপ্তানি করা হয়।
কাঁচামাল সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যায়েই শিল্পটি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। পশু জবাই করার পর্যায়ে চামড়া (হাইড ও স্কিন) থেকেই সমস্যাগুলোর সূত্রপাত হয়। গবাদিপশুর চামড়ার মান কমে যাওয়ার কারণগুলো হলো পশু চিহ্নিত করার জন্য চামড়ায় ছেঁকা দেয়া, সঠিক পদ্ধতিতে চামড়া না ছাড়ানো এবং অনুপযুক্ত উপায়ে সংরক্ষণ ও পরিবহন।
কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতির সিদ্ধান্ত জানিয়ে গুণাগুণ অক্ষুণ্ন রেখে যথাযথভাবে চামড়া সংরক্ষণের জন্য ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
টাইমস/এসআই