বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্ভাগ্য যে- বাংলাদেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্রটা চর্চা হয়নি। গণতন্ত্রের চর্চা পাকিস্তান আমল থেকে এখানে হয়নি। খুব স্বল্প সময় ধরে কিছুটা চর্চা হয়েছিল। তারপরে আবার সেই চর্চা থেকে আমরা দূরে সরে গেছি।
মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে ‘সিভিল ডিসকোর্স ন্যাশনালস-২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি এবং দ্য বাংলাদেশ ডায়ালগ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা ১.৮৭ শতাংশ রাজনীতিতে আগ্রহী মর্মে একটা জরিপ দেখে সকালে মন খারাপ হয়ে গেছিল। এখানে এসে আমার আশা বেড়েছে। আমাদের তরুণরা আরও বেশি যোগ্য। তারা দেশ গঠনে বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে।
বর্তমান তরুণ সমাজের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, অনেকেই বলেন, কিছু হবে না। আমাদের ছেলেরা এখন আমাদের চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমি অত্যন্ত আশাবাদী হয়ে উঠেছি, অবশ্যই অনেক কিছু হবে। বাংলাদেশে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব। তিনি আরও বলেন, তর্ক আছে, বিতর্ক আছে। মতের অমিল আছে। আমরা বিশ্বাস করি, আমার কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। তোমারও কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। এটাই হচ্ছে উপযুক্ত একটা ডেমোক্রেসি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে হওয়া ডিবেট প্রদর্শনী নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ডিবেটের একটি বিষয়ে আমার আপত্তি আছে। প্রধানমন্ত্রী আর স্পিকার বলার আগে ‘মাননীয়’ শব্দটা বলা কি আমরা বাদ দিতে পারি না? আমার মনে হয়, এই মাননীয় কথাটা থেকেই সমস্ত স্বৈরতন্ত্রের জন্ম হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রশনা ইমাম, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।