বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চায়। সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।এ জন্য মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীতে বাড্ডা ও রামপুরা থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ বছর ধরে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এখন সময় এসেছে জনগণ তাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে নেবে। যারা নির্বাচন পিছিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র করছে, তাদেরকে চিহ্নিত করুন। আগামী নির্বাচনের পরে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
নির্বাচনের পিআর পদ্ধতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, যাদের ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা নেই, তারাই সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পিআর পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছে। কত শখ জাগছে তাদের! কিন্তু এটা এতো সহজ নয়। যেখানে সাধারণ মানুষের মতামত থাকবে না, সেই পদ্ধতি কখনোই বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিএনপি এ দেশের সাধারণ মানুষের দল। তাদের জন্যই বিএনপি রাজনীতি করে। সেই সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে। ইনশাআল্লাহ, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকতে হবে।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিজ নিজ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখার জন্য কাজ করুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রাখুন। তবে স্বৈরাচারের দোসরদের মতো সাধারণ মানুষের ওপর কোনো অন্যায়-অবিচার করা যাবে না।
আমিনুল হক জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ রয়েছে, আগামীতে দেশে একটি পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচারের জন্ম না হয়।
সদস্য নবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা গত ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন, মামলা-হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন- তাদের সদস্যপদ নবায়ন আগে করা হবে। তবে যারা বিভিন্ন অজুহাতে কর্মসূচিতে অংশ নেননি, তাদের সদস্যপদ নবায়ন করা হবে না।
তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কোনো আদায়কর্তা যদি আওয়ামী দোসর বা সুবিধাবাদীদের সদস্য করেন, তার দায়দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। তার বিরুদ্ধে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাড্ডা থানা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বাবু ও রামপুরা থানা বিএনপির আহ্বায়ক হেলাল কবির হেলু'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক এমএ কাইয়ুম, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রমুখ।
এমআর/এসএন