কিয়েভে আবারও রাশিয়ার ড্রোন হামলা, প্রাণ গেল ২ জনের

ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিয়েভে ফের বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বুধবার (৯ জুলাই) রাতের এই হামলায় অন্তত দুইজন নিহত এবং আরও অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

সম্প্রতি ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতভর কিয়েভে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে এসব ড্রোন প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার পর এখন শহরজুড়ে আগুন জ্বলছে।

কিয়েভ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ শহরের কেন্দ্রীয় শেভচেনকিভস্কি জেলায় একটি আবাসিক ভবনের ছাদে আঘাত হানে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে রাতের আকাশে অসংখ্য বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা যায়।

আগের দিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে রাশিয়া এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় বলে জানায় ইউক্রেন। সেদিন রাতভর ৭২৮টি ড্রোন ও ১৩টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে রুশ বাহিনী। যা ইউক্রেনজুড়ে বেশ কয়েকটি শহরে আঘাত হানে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেয়ার এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে সরাসরি সমালোচনা করার পরপরই ওই হামলা চালানো হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে কিয়েভের সামরিক প্রশাসন জানায়, রাজধানীর ছয়টি জেলায় ড্রোন হামলা হামলা চালানো হয়েছে। সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেন, ‘আবাসিক ভবন, যানবাহন, গুদাম, অফিস ও অন্যান্য অনাবাসিক ভবনে আগুন জ্বলছে।’

তিনি আরও জানান, ‘দুঃখজনকভাবে, আমরা দুইজন নিহতের খবর পেয়েছি। তারা রুশ বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে। এটি একটি ভয়াবহ ক্ষতি।’ এদিকে মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো জানান, কিয়েভের পোডিলস্কি জেলায় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ‘প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে’।

আবারও হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং সাইরেন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাইরে না যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঘরে ফিরে জানালা বন্ধ রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। কারণ কিয়েভে এখনও প্রচুর ধোঁয়া।

এমআর/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দেশে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ ঠেকাতে জরুরি বার্তা বিজিবির Sep 15, 2025
img
জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জামায়াতের Sep 15, 2025
img
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার ছক্কা হজম করলেন বুমরাহ Sep 15, 2025
img
সেবায় নৈতিকতা-মানবিক মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান বিএমইউ ভিসির Sep 15, 2025
img
গাজা সিটিতে জাতিসংঘের ১০টি ভবন ধ্বংস করেছে ইসরাইল Sep 15, 2025
img
রামেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল ১ জনের, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১৩ Sep 15, 2025
img
ফিফার কাছে রেফারিদের বিরুদ্ধে নালিশ করবে রিয়াল মাদ্রিদ Sep 15, 2025
img
সারা দেশে শুরু হলো একাদশ শ্রেণির ক্লাস Sep 15, 2025
img

জুলাই গণঅভ্যুত্থান

আহত ও শহীদ পরিবারের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহযোগিতা করা হবে: আসিফ মাহমুদ Sep 15, 2025
img
পুলিশে ফের বড় রদবদল Sep 15, 2025
img
আফতাবনগর-বনশ্রীতে ৩ সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন Sep 15, 2025
img
ভুল করলে যৌক্তিক সমালোচনা করতেও ছাড়বেন না : হামিম Sep 15, 2025
img
শুল্ক না কমালে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে উঠবে ভারতের Sep 15, 2025
img
সরকারি চাকরিজীবীদের পে-স্কেল নিয়ে নতুন নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার Sep 15, 2025
img
দেড় মাসে ১১৩ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক Sep 15, 2025
img
তরুণরা সক্রিয় থাকলে দেশের কোনো সমস্যা অমীমাংসিত থাকতে পারে না : প্রধান উপদেষ্টা Sep 15, 2025
img
বলিউড দুনিয়ার কালো অধ্যায় সামনে আনলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া Sep 15, 2025
img
ডিজিটাল লেনদেনে কমবে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার : গভর্নর Sep 15, 2025
img
জামায়াতে ইসলামীর ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা Sep 15, 2025
img
ভারতের আচরণ স্পোর্টসম্যানশিপের পরিপন্থী : মহসিন নাকভি Sep 15, 2025