গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, গত ৫০ বছর আমরা দেখেছি, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। সেজন্য শাসন ব্যবস্থায় আমরা একটা মেজর পরিবর্তন চাচ্ছি, সেটি হচ্ছে পিআর কিংবা সংখ্যানুপাতিত পদ্ধতিতে নির্বাচন। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বলছে নির্বাচনটা পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে হবে।
রোববার (১৩ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংস্কারের জন্য জোরালো আলাপ চলছে এবং রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন হবে এটি গণঅভ্যুত্থানের আগে থেকে ঘোষণা ছিল। সুতরাং, পরিবর্তনের দিকে আমাদের যেতেই হবে। এখন আলোচনা হচ্ছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে। লোয়ার হাউসে ৪০০ আসন থাকবে, ৩০০ হচ্ছে পুরুষ আর ১০০ হবে নারী। লোয়ার হাউস কিন্তু বর্তমান সিস্টেমে থাকছে। আর আপার হাউস পররাষ্ট্রনীতি, অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, সংবিধান পরিবর্তন এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নীতিনির্ধারণী ফোরামের মতো কাজ করবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সিস্টেমে দেখি বড় দলগুলো থেকে এমপি হয়। ছোট দলগুলো অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যায়। কিন্তু তারা যে এতোগুলো জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে, তাদের কিন্তু সরকার বা রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ থাকে না। ধরেন একটা দল ১০ পার্সেন্ট ভোট পেলে তার ১০ জন প্রতিনিধি আপার হাউসে থাকে। তাহলে আপার হাউস লোয়ার হাউসে ব্যালেন্স থাকে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা পালিয়ে গিয়ে আওয়ামী লীগের কবর রচনা করেছে। ঘৃণিত হত্যাযজ্ঞ ও মানবতাবিরোধী অপরাদের পর তাদের রাজনীতি করার সুযোগ নেই।
টিকে/