আবু সাঈদ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীরশ্রেষ্ঠ: আসিফ নজরুল

আবু সাঈদ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীরশ্রেষ্ঠ বলে মন্তব্য করেছেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। রবিবার (১৩ জুলাই) রাতে তিনি তার ফেসবুক পোস্টে এ কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, এই ফরেনসিক বিশ্লেষনে দুটো বিষয় স্পস্ট হয়েছে। এক. পুলিশ আবু সাঈদকে টার্গেট করে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে খুন করেছে।

দুই. আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো দেরি করা হয়নি, তাকে এমনভাবে গুলি করা হয়েছিল যে বাঁচার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। এটা দেখে আমার আরেকটা জিনিস মনে হয়েছে। সেটি হচ্ছে আবু সাঈদ জেনে শুনেই খুন হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই প্রতিবাদ করেছে।আবু সাঈদ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীরশ্রেষ্ঠ!

এর আগে তিনি কোটা নিয়ে আরেকটি পোস্ট দেন।

সেখানে লিখেন- ২০১০ সালের ঘটনা। ২৮তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রচন্ড মন খারাপ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রছাত্রী আমার বাসায় আসেন। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থার কারণে সুযোগ পানানি এই মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা।

তাদের সাথে কথা বলার কিছুদিন পর কোটা নিয়ে আমার প্রথম কলাম লিখি ২৫ জুন ২০১০ সালে।

তিনি আরো লিখেন, এই লেখার আগে শ্রদ্ধেয় একজন আইনজীবীর সঙ্গে এ বিষয়ে একটা মতৈক্য হয়। কোটা নিয়ে আমি লিখব, এরপর বিদ্যমান কোটাব্যবস্থার কিছু অংশ সংবিধানবিরোধী—এই যুক্তিতে তিনি তা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে মামলা করবেন, মোটামুটি এই স্থির করি আমরা। আমার লেখা ছাপা হলো, অনলাইনে বিপুলসংখ্যক পাঠকের সমর্থনও পাওয়া গেল।

কিন্তু এরপর আর শ্রদ্ধেয় আইনজীবী মামলা করতে রাজি হন না। তিনি সমাজে খুব প্রগতিশীল হিসেবে পরিচিত। তারপরও মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংবিধানবিরোধী, এটি বললে তাঁকে জামায়াত-শিবির ভাবা হতে পারে, এই ভয় গ্রাস করে তাকে।

তার ভয় ভুল ছিল না। কোটা বাতিলের দাবীতে ২০১৩ সালে যে আন্দোলন হয় তাদের আখ্যায়িত করা হয় জামায়াত-শিবির হিসেবে। এর প্রতিবাদ করে ২০১৩ সালে ১৪ জুলাই লিখি ‘কোটা বনাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’। এরপর ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোটা ব্যবস্থার নির্মমতা নিয়ে বহু লেখা লিখেছি। আলোচনা, বিবৃতি এবং রাস্তায় সক্রিয় থেকেছি। এই কোটা আন্দোলন থেকেই আওয়ামী লীগের ফ্যাসিষ্ট শাসনের অবসান ঘটে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারী ছাত্র-জনতার অবিনশ্বর অবদানের সাথে সাথে এই সময়ে স্বরণ করি এই আন্দোলনের সূচনালগ্নের তরুণদের।

আরআর

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইসরায়েলে ২০০ সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র Oct 10, 2025
img

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ

৩ ম্যাচ হেরে জটিল সমীকরণে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল আশা Oct 10, 2025
img
ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনীত করবে ইউক্রেন Oct 10, 2025
img
সাবেক এমপি ইকবাল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা Oct 10, 2025
img
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল রাবি শিক্ষকের, সহকর্মী আহত Oct 10, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ঢাকায় Oct 10, 2025
img
দূষিত বাতাসের শীর্ষ শহর লাহোর, ১০ম অবস্থানে ঢাকা Oct 10, 2025
img
শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ Oct 10, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না জামায়াতের শীর্ষ ৫ নেতা Oct 10, 2025
img
জামায়াত থেকে পদত্যাগ করলেন ফ্লোটিলার আলোচিত মুশতাক Oct 10, 2025
img
শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা চলছে Oct 10, 2025
img
ভূমিকম্পের পর ‘সুনামির’ আশঙ্কা করছে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ Oct 10, 2025
img
হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করল ইসরাইলি মন্ত্রিসভা Oct 10, 2025
img
প্রিয়তমা’র পরে শাকিব খানের কোনো সিনেমাই চলেনি : ইকবাল Oct 10, 2025
img
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল দিয়ে দেন, তিনি এটার প্রাপ্য: নেতানিয়াহু Oct 10, 2025
img
ফিলিপাইনে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি Oct 10, 2025
img
শাপলা না দিলে ধানের শীষও বাদ দিতে হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Oct 10, 2025
img
সুদের হার কমানোর দাবি ব্যবসায়ীদের Oct 10, 2025
img
যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ফিলিস্তিনি Oct 10, 2025
img
আরও ১০ কোটি ৭০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক Oct 10, 2025