জাতীয় পার্টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিদিশা

২০২০ সালে শুরু হওয়া ‘জাতীয় পার্টির পুনর্গঠন প্রক্রিয়া’কে সামনে রেখে আবারও সামনে আসছেন দলটির একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদিশা। একইসঙ্গে সক্রিয় হচ্ছেন তার ছেলে এরিক এরশাদও।

সোমবার (১৪ জুলাই) জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন বিদিশা। দেন নতুন বার্তা।


জানা গেছে, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিদিশা এরশাদকে, আর মহাসচিব করা হয়েছে কাজী মো. মামুনুর রশীদকে। বিষয়টি গত ১৯ জুন নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছেন তারা।

এ ব্যাপারে বিদিশা বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির রাজনীতি দেশের জন্য প্রাসঙ্গিক। আগামী নির্বাচন ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি মানুষের কাছে আকাঙ্ক্ষার বিষয়। দলের নেতাকর্মীরা চান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সন্তান এরিকও সক্রিয় হোক। ছেলের মতো আমিও চাই তার পাশে থাকতে। আমি ও এরিক মানুষের জন্য কাজ করতে সক্রিয় হচ্ছি আবার।’

তিনি বলেন, ‘১৪ জুলাই সাবেক রাষ্ট্রপতির মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের বার্তা থাকবে: আসুন, আমরা সবাই একসঙ্গে স্বৈরাচার জি এম কাদের ও শেরীফা কাদেরের হাত থেকে জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করি। এরশাদের রেখে যাওয়া সম্পদকে রক্ষা করি।’

সিনিয়র নেতাদের উদ্দেশে বিদিশা বলেন, ‘আসুন, একবার আমাদের পার্সোনাল ইগো বাদ দিয়ে আমরা সবাই আবার এক হই। স্যারের (এরশাদ) রেখে যাওয়া পার্টি একসঙ্গে করি।’

এমপি-মন্ত্রী হওয়ার খায়েশ নেই জানিয়ে বিদিশা বলেন, ‘আমাকে নিয়ে আপনারা ভয় পাবেন না। আমি এরিকের মা, মা-ই থাকতে চাই। আমাকে পদ-পদবি দিতে হবে না। আমার কোনো প্রয়োজনও নেই। আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, মানুষের হৃদয়ে বাস করতে চাই। আপনারা যারা সিনিয়র নেতা, তাদের বলতে চাই: আপনারা হচ্ছেন মাথার তাজ, মুকুট। আমরা সম্মান দিয়ে রাখব আপনাদের।’

এ মুহূর্তে জি এম কাদেরের হাত থেকে জাতীয় পার্টিকে বাঁচানো প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত দাবি করে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান কে হবে, মহাসচিব কে হবে, পদ-পদবি নিয়ে চিন্তা না করে আসুন, এরশাদের নামটা আমরা ছড়িয়ে দিই সারা দেশে। এরশাদ যেসব ভালো কাজ করে গেছেন, সেগুলো বেশি বেশি করে মানুষের মাঝে জানিয়ে দিই আমরা।’


ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
১৪ জুলাই স্মরণে মধ্যরাতে রাজপথে নারী শিক্ষার্থীদের মিছিল Jul 15, 2025
img
এনসিপি’র সমন্বয় কমিটি অনুমোদনের দুই দিনের মধ্যেই তিনজনের পদত্যাগ Jul 15, 2025
img
জুলাই আন্দোলনে সম্পৃক্ত নারীদের খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিল সরকার Jul 15, 2025
img
এনসিপি ভাগবাটোয়ারার রাজনীতিতে আগ্রহী নয়: নাহিদ ইসলাম Jul 15, 2025
img
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করা শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর Jul 15, 2025
img
পুতিনকে ৫০ দিনের আলটিমেটাম দিলেন ট্রাম্প Jul 15, 2025
img
মব জাস্টিস সমাজের মরণ ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে : রিজভী Jul 15, 2025
img
১৪ জুলাই স্মরণে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ফের উত্তাল ঢাবি Jul 15, 2025
img
টাকার বিপরীতে কমল ডলারের দাম Jul 15, 2025
img
বরগুনায় এনসিপির পথসভা, মঞ্চে সারজিসকে দেখে ‘দুলাভাই দুলাভাই’ স্লোগানে মুখর ছাত্র-জনতা Jul 15, 2025
img
'একজন প্লেয়ার হিসেবে সাকিবের বিকল্প নেই' Jul 14, 2025
img
নিজেরা মেঝেতে বসে শহীদদের মা-বাবাকে চেয়ারে বসালেন উপদেষ্টারা! Jul 14, 2025
img
ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, আটক ২ Jul 14, 2025
img
জার্মান পার্লামেন্টে রংধনু পতাকা উত্তোলন নিষিদ্ধ Jul 14, 2025
img
৫০ ডিগ্রির ভয়াবহ গরমে কাঁপছে আমিরাত Jul 14, 2025
img
উচ্চকক্ষকে দুর্বল করার অপচেষ্টা চলছে: আখতার হোসেন Jul 14, 2025
img
সাগরে নিম্নচাপ: সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত Jul 14, 2025
img
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব সম্প্রদায়েরও বড় দায় আছে : কক্সবাজারে দুই উপদেষ্টা Jul 14, 2025
img
সিআইডি সেজে প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণ Jul 14, 2025
img
সালাউদ্দিনকে সরানোর কোনো ভাবনা নেই বিসিবির Jul 14, 2025