বরিশালে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমিরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এসময় নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা নির্বাচনের যে ভাগবাটোয়ারা, আসনের যে ভাগবাটোয়ারার সেই রাজনীতিতে আমরা আগ্রহী নই। সেই রাজনীতিকে নস্যাৎ করে চ্যালেঞ্জ করেই এনসিপির উত্থান হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা দরবারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তিনি আরও বলেন, বরং আমরা বলেছি সংস্কারের যে আলাপ চলছে, মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যার বিচার এবং দেশকে পুনর্গঠন করা সেই আলাপ আলোচনার রাজনীতিতে এনসিপির দরজা খোলা আছে।
আমরা চরমোনাইর দরবারে এসেছি জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের সংস্কৃতি আমাদের ধর্ম, আমাদের রাজনীতি দেশের মানুষের অবস্থা এবং ইসলাম নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে মাসব্যাপী দেশব্যাপী জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছি, বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী মসজিদ মাদরাসায় যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ চরমোনাই মাদরাসা পরিদর্শনে এসেছি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, জুলাইয়ের আন্দোলনে আমরা সামনের কাতারেই ছিলাম। ঐতিহাসিকভাবে আমরা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। এনসিপির বক্তব্য এবং আমাদের বক্তব্য অনেক কাছাকাছি। আমরা দেশ গড়তে চাই, বৈষম্য দূর করতে চাই, অত্যাচার অবিচার দেশ থেকে উৎখাত করতে চাই। নাহিদ সাহেব যেটা বলেছেন, সেই চাঁদামুক্ত দেশ গড়তে চাই। দেশ গড়ার জন্য যা কিছু প্রয়োজন সব আমরা একসঙ্গে করবো।
পরে নাহিদ ইসলাম মরহুম পীর সাহেব হুজুর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম ও দাদা হুজুর মাওলানা সৈয়দ এছহাক র: এর কবর জিয়ারত করেন এবং মাদরাসা পরিদর্শন করেন।
এদিকে রাত ১১টার দিকে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম মাদরাসা পরিদর্শন করেন।
আরআর