পাকিস্তানে বন্যায় নিহত ১১১ জন, আরও ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস

পাকিস্তানে জুনের শেষ দিকে শুরু হওয়া চলমান মৌসুমি বৃষ্টি ও এর ফলে সৃষ্ট বন্যায় কমপক্ষে ১১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ জুন থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় মৃতদের মধ্যে অন্তত ৫৩ জন শিশু রয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে দেশটির সর্বাধিক জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে সবেচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের প্রাণ গেছে।

দেশটিতে গত জুনের শেষ দিকে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এ সময় একটি নদীর তীরে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া অন্তত ১৩ জন পর্যটক বন্যার পানিতে ভেসে যান। পরে তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পাকিস্তানের জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে আরও ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এর ফলে বন্যা, ভূমিধ্বস এবং বাতাসের কারণে অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

পাকিস্তানে বৈরি আবহাওয়া কেবল মানুষের জীবনকেই প্রভাবিত করেনি; বরং এর ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। আকস্মিক বন্যা এবং ভারী বর্ষণের কারণে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা এবং নয়টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে ১৪৫টি বাড়ি এবং ৩১০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ডন বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান অন্যতম। দেশটির ২৪ কোটি বাসিন্দা ক্রমবর্ধমান হারে চরম বৈরি আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে।

২০২২ সালে নজিরবিহীন এক বন্যায় পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ এলাকা ডুবে যায়। এতে দেশটির ১ হাজার ৭০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। দেশটির অনেক অঞ্চল এখননো সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সিঙ্গাপুরকে বন্দর উন্নয়নে বিনিয়োগের আহ্বান নৌ উপদেষ্টার Jul 15, 2025
img
নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে: এজেডএম জাহিদ হোসেন Jul 15, 2025
img
প্রথম ঝলকেই হৃদয়ে জায়গা করে নিল ‘প্রেমান্তে’ Jul 15, 2025
img
চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক Jul 15, 2025
img
১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক Jul 15, 2025
img
জেলা কোচদের জন্য বিশেষ কোর্স পরিচালনা বিসিবির Jul 15, 2025
img
১৬ জুলাই মার্চ টু গোপালগঞ্জ, আমরা আসছি: সারজিস Jul 15, 2025
img
কোর্ট যেভাবে চলছে, এইভাবে কোথাও চলে না : ফজলুর রহমান Jul 15, 2025
img
জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Jul 15, 2025
img
চিকিৎসকের গাফিলতিতেই মা হতে পারেননি, জানালেন সম্ভাবনা শেঠ Jul 15, 2025
img
ডিবি হারুন আমাকে তিনবার কল করেছিলেন আন-অফিশিয়ালি : ডা. সাবরিনা Jul 15, 2025
img
প্রথমবার খলনায়িকার চরিত্রে অপরাজিতা! Jul 15, 2025
img
মিটফোর্ডের ঘটনায় ফের ৫ দিনের রিমান্ডে মহিন Jul 15, 2025
img
উইম্বলডনের কোর্টে থালাপতির গর্জন Jul 15, 2025
img
নিউইয়র্ক-নিউজার্সিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা Jul 15, 2025
img
ধানমন্ডির সাবেক ওসি ইকরামের ৫ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ Jul 15, 2025
img
রাজবাড়ী আমার শ্বশুরবাড়ি, মানে আমারও বাড়ি : তাসনিম জারা Jul 15, 2025
img
ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে অমাল মালিক, দিলেন ব্যাখ্যা Jul 15, 2025
img
ভারতে রয়েছেন ডিপজল! Jul 15, 2025
img
আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের প্রয়োজনীতার প্রশ্ন উঠেছে: সালাহউদ্দিন আহমদ Jul 15, 2025